বর্তমান প্রজন্মের টলি-সুন্দরীদের তালিকায় কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের (Koushani Mukherjee) স্থান ভিন্ন। নিজের রূপের জেল্লায় তিনি যেমন ঘায়েল করেন দর্শকদের তেমনই আবার তার অভিনয় মন নয় করে। তবে ফিল্মি জীবন ছাড়াও এই অভিনেত্রীর বাস্তবিক জীবন নিয়েও দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল থাকে চিরকাল। তবে এবার তিনি নামতে চলেছেন ছবির প্রযোজনায়। কাছের মানুষ বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta) সঙ্গে পর্দার বাইরে জুটি বেঁধে এবার অভিনেত্রী হাজির এক অন্য রূপে।
বাংলা প্রযোজকদের তালিকায় নতুন সংযোজন বনি-কৌশানি জুটি। ‘বি কে এন্টারটেনমেন্ট’-এর প্রথম ছবি ‘ডাল বাটি চুরমা’। এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন এই জুটি। আর নতুন কাজ শুরু করেই সংবাদমাধ্যমে রিনি স্বীকার করে নিলেন নতুন এই কাজের অজিজ্ঞতা। তিনি জানান যে এই কাজ করতে গিয়ে নতুন অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে অভিনেত্রীর। তিনি নাকি সেটেই থাকতেন। আর সেটের নানা দিক নজরে রাখতেন। এছাড়াও অভিনেত্রী বলেন, “দু’রকমের দায়িত্ব আমার কাঁধে। শুটিং চলাকালীন গুরুদায়িত্ব ছিল যে, সেটে উপস্থিত সকলের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না সেটার খেয়াল রাখা! সবার চাহিদা ঠিক মতো পূরণ হচ্ছে কি না, দেখার দায়িত্ব ছিল আমার। শুধু সেটই নয়, গানগুলো যেন ভাল হয়, সেই দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি আমি। হ্যাঁ, টাকাপয়সার বিষয়ে খুব বেশি গভীরে ঢুকিনি। তবে চেক আমার হাত দিয়েই দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক ও ভাবনা এই সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন অভিনেত্রী। তিনি ট্রোলিংয়ের বিষয়েও এই সাক্ষাৎকারে অকপট হয়ে নিজেকে মন্দিরের ঘন্টার সঙ্গে তুলনা করে অভিনেত্রী বলেন, “আমরা আসলে মন্দিরের ঘণ্টা, যে পারে এসে বাজিয়ে চলে যায়। পাবলিক ফিগার হওয়া মানেই অলিখিত ঘোষণা, যে যেমন খুশি কথা বলতে পারে। ট্রোল করতে পারে। আমরা এগুলো নিয়েই সংসার করি। নেতিবাচক মন্তব্য এখন আমি উপভোগ করি।” পাশাপাশি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পারিশ্রমিকের বৈষম্যের বিষয়েও এই সাক্ষাৎকারে অকপট হন অভিনেত্রী। তিনি বলেন যে টলিউডে সবসময় নায়কদের বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। তিনি নাকি নিজেও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, “এমন অনেক সময় হয়েছে, একটা ছবিতে আমার নায়কের তুলনায় অনেক বেশি অংশ আমার। আমায় অনেক বেশি দিন সময় দিতে হয়েছে। কিন্তু শেষে নায়ককেই বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে, আমায় নয়।”
প্রসঙ্গত, তাদের আসন্ন ছবি ‘ডাল বাটি চুরমা’ বড় পর্দায় আসছে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি। এই ছবির পরিচালনায় রয়েছেন হরনাথ চক্রবর্তী। ছবি নির্ভেজাল কমার্শিয়াল। উত্তর কলকাতার বাঙালি এবং দক্ষিণ কলকাতার একটি রাজস্থানি পরিবারের গল্প নিয়েই এই ছবি। আছে দুই পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্ব, ঝগড়া, প্রেম-সহ আরও অনেককিছু।
View this post on Instagram