বলিউড সুপারস্টার সলমন খান সঞ্চালিত বিতর্কিত রিয়্যালিটি শো বিগ বস–১৪ এর আসর সেপ্টেম্বর মাস থেকে কালারস টিভির পর্দায় সম্প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। এবছর বিগ বস -১৪ তে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কুমার শানুর ছেলে জান কুমার শানুকে রিয়ালিটি শোএর প্রথম প্রতিযোগী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন খোদ সলমন খান। জান প্রথমদিনই সেই অনুষ্ঠানে জানান যে, তিনি এই বিতর্কিত শোয়ে অংশ নেওয়ার কথা শুনে তাঁর বাবা কুমার শানু প্রথমে অবাক হয়ে যান। একটু আপত্তির সুর ও টেনেছিলেন।
একবার বিগবসের ঘরে নেপোটিজমের কথা উঠলে
তারপর সলমন তাই জানকে সরাসরি প্রশ্ন করেন যে তাঁর বাবা কুমার শানু, তাঁকে কোনওভাবে বলিউডে আসতে বা টিকে থাকতে আদেও কি কোনো করেছেন৷ কিন্তু উত্তরে জান বলেন যে তা ব্যাপারটা অন্যদের থেকে আলাদা। তিনি ছোট থেকে মায়ের কাছে মানুষ, তিনি জন্ম থেকে গান ভালোবাসেন। নোপোটিজম তত্ত্ব তাঁর জন্য নয়৷ বাবা শান কোনোদিনই ছেলের কেরিয়ারের কোনও রকম সাহায্য করননি।
অন্যদিকে, বিগ বসের ঘরে থাকাকালীন জানকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বিগ বসের ঘরে একবার নিকি তাম্বোলির সঙ্গে জান কুমার শানু বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেম মহারাষ্ট্রীয় ভাষায় কথা বলার জন্য। এরপর বাবা ছেলের মধ্যে বেশ দুরত্ব বাড়ে। এছাড়াও জান বিগ বস সেটে বলেন কোনোদিন নাকি তার কেরিয়ারের জন্য কিছু করেননি। এরপর তাকে নিয়ে কুমার শানু রেগে গিয়ে বলেন, ছেলের জন্য তিনি যদি কিছু না করেন, তাহলে ছেলে যেন নিজের নামের পাশ থেকে কুমার শানু সরিয়ে ফেলেন। জান নিজের নামের পাশে রীতা ভট্টাচার্য যোগ করুন বলে দাবি করেন কুমার শানু। ওই ঘটনার পর থেকেই কুমার শানু এবং জান কুমারের সঙ্গে বিবাদ প্রকাশ্যে আসে।
এছাড়াও কুমার শানু আরো বলেন, জানকে গায়ক করার জন্য তিনি ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ছেলের কথা মতোই মহেশ ভাট, রমেশ তুরানিদের সঙ্গে জানের পরিচয় দেন তিনি। বলিউডের হেভিওয়েট পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেমে থাকেননি। এর পাশাপাশি নিজের বেশ কয়েকটি শোতেও তিনি জানকে নিয়ে যান। বেশ কয়েকটি শোয়ে ছেলেকে নিয়েই তিনি গান গাইতে উঠেছিলেন। এর বেশি তিনি আর কী করতে পারেন বলে প্রশ্ন তোলেন কুমার শানু।
অবশ্য এখন জান আর বিগ বসের ঘরে নেই। বাদ পড়েছে অনেক দিন আগেই। এখন জান নিজের কেরিয়ার নিয়ে ফোকাস করেছেন। বাবার ওপর রেগে থাকলেও তিনি এক সংবাদমাধ্যমে জানান, হাজার হলেও কুমার শানু তাঁর বাবা। যতই রাগ হোক না কেন, দিনের শেষে তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। ফলে কোনো না কোনো দিন তাঁদের এই বিবাদ মিটে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন জান। একদিন হয়তো বিবাদ মিটবে।