বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই নতুন বছর শুরু হবে। এই বছরটা কারো ভালো, কারো মন্দ, ভালো মন্দ মিশিয়ে কেটেছে। পরের বছরে যাতে কোন রকম ভাবেই খারাপ কিছু আপনাকে স্পর্শ না করতে পারে, তাই বছরের শেষ বৃহস্পতিবার একাদশীর দিন কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। তবে এই নিয়ম মানবে কি মানবে না তা একমাত্র আপনার ইচ্ছার উপরেই নির্ভর করে। জোর করে কোন কিছু করতে যাবেন না, অনেকেই ভাবেন এগুলো কুসংস্কার, যারা এমন কথা ভাবেন, তাদের এই ছোট ছোট টোটকাগুলি না মানলেও চলবে। কিন্তু যারা সত্যিই মন থেকে বিশ্বাস করেন, তারা মেনে চলতে পারেন। Hoophaap এর পক্ষ থেকে কোনরকম কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।
যদি পারেন তো প্রতি একাদশীতে নিরামিষ আহার করতে পারেন। নিরামিষ আহার করা শরীরের জন্য ভালো একাদশীর দিন নিরামিষ আহার করলে, সুফল পাওয়া যায়। অনেক সময় অর্থনৈতিক সংকট, শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, সাংসারিক ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে প্রতি একাদশীতে নিরামিষ আহার করবেন। প্রতি বৃহস্পতিবার যদি এই মা লক্ষ্মীর সামনে একটি করে পদ্মফুল দিতে পারেন যতটা সম্ভব নয় বছরের শেষ বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজকে মা লক্ষ্মীর পায়ের সামনে একটি পদ্মফুল রাখুন। দেখবেন আপনার জীবন কত সুন্দর হয়ে গেছে।
মা লক্ষ্মী আপনার অর্থনৈতিক সংকটকে দূর করবে। অনেকদিন ধরে যদি কোন টাকা পাওনা থাকে, অথবা যদি আপনার চাকরি প্রমোশন চান, কিংবা অর্থনৈতিকভাবে কোন কারণে সমৃদ্ধি চান, তাহলে অবশ্যই আপনি মা লক্ষ্মীর পায়ের সামনে একটি পদ্মফুল রেখে দিন এবং মনে মনে মা লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করতে পারেন, আজ বছরের শেষ দিনে এমনটা করুন, তবে অবশ্যই মনে বিশ্বাস রেখে করতে হবে তাহলে এই ফলাফল আপনি দ্বিগুণ তাড়াতাড়ি পাবেন।
