১৪ জুন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মুম্বাইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন। অভিনেতার আত্মহত্যার পর পুরো পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই অভিনেতার পরিবারের সবাই ন্যায় বিচার চেয়ে এসেছেন মোদী সরকারের কাছে। অভিনেতার বাবা বার বার দাবি করেছেন, তার ছেলে কোনোভাবে সুইসাইড করতে পারেনা। তাকে খুন করা হয়েছে। এই মামলা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই শুরু হয় সিবিআই তদন্ত।
সুশান্তের মৃত্যুশোক ভুলতে না ভুলতে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের উপর ফের দুঃখের ছায়া। প্রকাশ্য রাস্তায় দিনদুপুরে সুশান্তের ভাইয়ের উপর চলল এলোপাথাড়ি গুলি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুশান্তের তুতো ভাই রাজকুমার সিং (Raj kumar Singh)। এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিহারে।
তথ্য সূত্র থেকে জানা যায়, বিহারের সিরষা জেলার মাধেপুরে ছিল রাজকুমারের বাইকের শো-রুম। অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও আলি হাসান নামে নিজের এক কর্মচারীকে নিয়ে এই শো-রুমটিই খুলতেই যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বৈজন্তীপুর চকে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। এরপরই রাজকুমার এবং আলিকে লক্ষ্য করে আসে এলোপাথাড়ি গুলি। আর ওদের ওপর গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনার পর স্থানীয়রা আপাতত দুজনকেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। রাজকুমার স্থিতিশীল আছেন বলেই জানা গিয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছে বিহার পুলিশ। রাজকুমারের কাছ থেকে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনার জেরে বিহারের আইন-শৃঙ্খলার অব্যবস্থার ছবি আবারো প্রকাশ্যে এল বলে মন্তব্য করেছে অনেকে। কারা এই কাজ করেছে? কেনই বা আক্রমণ করা হল রাজকুমারের ওপর প্রশ্ন উঠছে। পুরনো কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণে এই হামলা তাও জানা যায়নি। ইতিমধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। জানা যায়নি ওই দুষ্কৃতীদের পরিচয়ও।