BollywoodHoop PlusHoop Story

Birju Maharaj: মধ্যরাতে হৃদরোগে প্রয়াত পন্ডিত বিরজু মহারাজ

সারা বিশ্ব তথা ভারত আবারো তার গুণীজনকে হারালো। বিখ্যাত কত্থক নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ৮৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন, রবিবার মধ্যরাত্রে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন তাঁর নাতি স্বর্ণ মিশ্র। ১৯৫২ সাল থেকে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে বাবা হারা সেই ছোট্টো গুণী ছেলেটি জীবনের সাথে লড়াই করা শুরু করেছেন। কাকা লচ্ছু মহারাজের সাথে তখন মুম্বইয়ে কোরিওগ্রাফির কাজ করছেন ওই একরত্তি বয়সে, সত্যিই ভাবা যায়না।

পারিবারিক সূত্রে খবর, রাত ১২টা পর্যন্ত নিজের নাতি-নাতনির সাথে খেলছিলেন পদ্মবিভূষণ পুরস্কার বিজয়ী এই মানুষটি। একাধারে নাচ, তবলা এবং কণ্ঠসঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন বিরজু।দেশ-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। রয়েছে প্রচুর ছাত্রছাত্রী। অতুলনীয় ভঙ্গিমা ছিল তাঁর। উল্লেখ্য, অন্তরাক্ষরি খেলছিলেন তিনি। বিশ্বাস করা যায়না, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিল্পী মানুষটি শিল্পের মধ্যে দিয়েই শূন্যে মিলিয়ে গেলেন। জানা গেছে, কিডনির সমস্যা ছিল তাঁর। ডায়ালিসিসও চলছিল। বীভৎস বিষয় যে, হারাতে হলো ভারতের নৃত্যের মহারাজকে।

তাঁর মৃত্যু ভারতে নিয়ে এসেছে শোকের ছায়া। শোকপ্রকাশ করেছেন বহু গুণীজন। গায়ক আদনান সামি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা, ‘পারফর্মিং আর্টের ক্ষেত্রে আমরা একটি অনন্য অতুলনীয় প্রতিভাকে হারালাম। তিনি তাঁর প্রতিভা দিয়ে বহু প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছেন। মহান কত্থক নৃত্যশিল্পী-পণ্ডিত বিরজু মহারাজজির প্রয়াণের খবরে গভীরভাবে শোকাহত আমরা। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সাথে ভারতের লোকশিল্পী মালিনী আবস্থিও। অসংখ্য গুণীজন সাথে সাধারণ মানুষের শোকপ্রকাশ লিখে প্রকাশ করা সত্যিই অসম্ভব।

পণ্ডিত বিরজু’জি মহারাজ ভারতের শিল্প ও সংস্কৃতির রাজা। তিনি তাঁর মনোহরা কত্থক নৃত্যে লখনউ ঘরানাকে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একাধিক ধারার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একাধিক মুভিতে কোরিওগ্রাফারের কাজও করেছেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবিতে বিরজুজি যে দুটি গানের কোরিওগ্রাফি করেন তার মধ্যে আমজাদ খানের অভিনীত জনপ্রিয় গানটি ছিল ‘কানহা মে তোসে হারি’। কত্থকের ‘মহারাজা’র অকাল প্রয়াণ সত্যিই মেনে নিতে পারবে এই বিশ্ব? না, কখনোই না। অমর হয়ে থাকবেন তিনি তাঁর অসংখ্য ভক্তের হৃদয়ে।

whatsapp logo