Partha-Arpita: খাতায় কলমে পার্থ-অর্পিতার কিসের সম্পর্ক!
কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে, আবার মারে হরি রাখে কে ….কথাটি কবে সত্যি হবে এই আশায় দিন গুনছে আপামর বাঙালি। কার্যত কেউই মানতে পড়ছে না ৫০ কোটি টাকার অর্থ তছরুপ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শাস্তি পান, এমনটাই চাইছেন অধিকাংশ বঙ্গ জনতা। এদিকে, পার্থ ও অর্পিতাকে আদালতে হাজির করা হয় মুখোমুখি। এবং এদিন পার্থ অর্পিতাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তার দাবি তিনি চেনেন না অর্পিতাকে। নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোয় কয়েকবার দেখেছেন। অথচ অর্পিতা বলেছেন, ওই ৫০ কোটি আমার নয়। পার্থ বাবুর লোক রেখে যেতেন। এমনকি পার্থ বাবু এও বলেছেন ওই টাকা আমার নয়, কার তিনি জানেন না।
এদিকে, দুদিন আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তখনও পর্যন্ত তিনি অর্পিতাকে চিনতেন। অথচ, কোর্ট এ আসা মাত্রই ভোল বদল হয়। শেষে, পার্থ ও অর্পিতার আগামী ১৮ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। দুজনে থাকছেন আলাদা সংশোধনাগারে। পার্থ থাকছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে, এবং, অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।
তাহলে কি সত্যি পার্থ বাবুর বা পার্থ দা বা পার্থ কাকুর টাকা নয়? পার্থ ( বাবু, কাকু, দাদা) কি সত্যি অর্পিতাকে চেনেন না? কিন্তু, তথ্য, ছবি বলছে পার্থ ও অর্পিতা খুবই ঘনিষ্ঠ। দুজনের রসায়ন মাখো মাখো গরম সন্দেশ ।
খাতা কলম অর্থাৎ যেই ৩১ টি জীবন বীমা উদ্ধার করেছে ইডি তাতে সবকটি র নমিনি হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সম্পর্কের কথা উল্লেখ আছে uncle অর্থাৎ বাংলায় কাকু গোছের। তাহলে পার্থ বাবু হলেন অর্পিতার কাকু। সে কাকু হোক বা বয়ফ্রেন্ড বা মামা বা দাদা, সম্পর্ক তাহলে আছেই। বাকিটা আদালত, বিচার ব্যবস্থা বলবে।