LIC Investment: এককালীন টাকা জমা দিয়েই দ্বিগুন রিটার্ন, দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে LIC-র এই পলিসিতে
কর্মজীবনে আমরা সকলেই রোজগার করি। আর কষ্টার্জিত সেই রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে সকলেই চায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় জীবনবিমা, সঙ্গে ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার উপর তেমন ভরসা করেন না নাগরিকরা। কারণ অবশ্য একটাই, ভুঁইফোড় সব চিটফান্ড। তবে সেসব ঝুঁকি ছাড়াই টাকা বিনিয়োগ করার বিষয়ে অনেকের প্রথম পছন্দ হল LIC। অনেকেই এই বীমা সংস্থাকে একমাত্র ভরসযোগ্য সংস্থা বলে মনে করেন।
আর এবার LIC নিয়ে এক আকর্ষণীয় একটি প্ল্যান, যার মাধ্যমে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্বিগুন রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তির সময় একটা বড়সড় অঙ্কের টাকা পাওয়ার সুযোগ থাকছে LIC-র এই পলিসিতে। পাশাপাশি, পলিসি চলাকালীন পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলেও মিলবে লাভ। এখন একনজরে দেখে নিন এই পলিসির বিস্তারিত কিছু তথ্যাবলী।
■ পলিসির নাম: এলআইসি ইনভেস্টমেন্ট প্লাস পলিসি (LIC Investment Plus Policy)।
■ পলিসির মেয়াদ: এই পলিসিতে আপনাকে লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে না। তবে আপনি চাইলে আয়নার বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে পারেন। সেই সুযোগ দিয়ে থাকে LIC। এক্ষেত্রে আপনি সর্বনিম্ন ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন। এবার এটিকে আয়নার ইচ্ছেমতো বাড়াতেও পারেন।
■ বয়সসীমা: এই পলিসিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের সীমার তেমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে যেহেতু এটি মার্কেট ঝুঁকির উপর নির্ভরশীল, তাই প্রাপ্তবয়স্ক হলে তবেই বিনিয়োগ করা উচিত।
■ রিটার্নের পদ্ধতি: এই পলিসির পলিসি হোল্ডার যদি মেয়ারপূর্তি অবধি জীবিত থাকেন তাহলে মেয়াদ শেষে সম্পুর্ন রিটার্ন পাবেন তিনি। তবে যদি পলিসি চলার মাঝে পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হয়, তাহলে তার নমিনি বিমাকৃত অর্থ সহ সম্পূর্ন রিটার্ন পাবেন। এক্ষেত্রে সুদ পাওয়া যায় ১৫ শতাংশ অবধি।
■ যেভাবে দ্বিগুন টাকার রিটার্ন: কোনো ব্যক্তি জফি এই পলিসিতে এককালীন ১৫ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি দুর্ঘটনা কভারেজ বাবদ পাবে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। তবে মেয়াদ শেষের পরেও জীবিত অবস্থায় পলিসি হোল্ডার যদি পলিসিটি চালিয়ে যান, সেক্ষেত্রে দ্বিগুন রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।