যীশু সেনগুপ্ত এই নামটা প্রথম শুনলে আমরা একজন প্রাণপুরুষের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি, আর তিনি হলেন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু। তখন যীশু খুবই কম বয়সী, শীর্ণ শরীর, দীর্ঘ গড়ন একেবারে সুন্দর ভাবে ছুঁয়েছিল শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর চরিত্রকে। তিনি প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান, বাংলা মেগা সিরিয়াল মহাপ্রভু তে। এরপর যীশু কিছু বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় করেন কিন্তু জনপ্রিয়তা ছুঁতে পারেননি। তবে এখনকার যীশু হলেন একজন জনপ্রিয় সেরা অভিনেতা। ঋতুপর্ণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যখন চিত্রাঙ্গদা করলেন, তখন থেকে যেনো যীশুর অন্তরের শিল্পী শক্তি প্রকাশিত হতে থাকলো। এখন এই যীশু হিন্দি ছাপিয়ে সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতে পর্যন্ত আসর জমিয়ে বসেছেন। সেই পর্দার মহাপ্রভু আজ একজন সুদর্শন, পরিণত এবং দক্ষ অভিনেতা বলা যেতে পারে।
আজ রথযাত্রা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আজ রথের দড়িতে টান দেন। যদিও এই উৎসব সকলের জন্য। যে কেউ রথের দড়িতে টান দিতে পারেন। ভাবছেন, যীশু সেনগুপ্তর সঙ্গে রথযাত্রার কি সম্পর্ক? একসময় ছোট পর্দায় দর্শকরা যীশুকেই মহাপ্রভু চরিত্রে দেখে। তাই একটু মিল রয়েই গিয়েছে।
View this post on Instagram
জানা যায়, শ্রীচৈতন্য জীবনের শেষ আঠারো বছর কাটিয়েছেন পুরীতে৷ ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পুরী যান। তিনি যখন পুরী যান তখন ওডিশার রাজা ছিলেন প্রতাপরুদ্র দেব৷ এছাড়াও, শ্রীচৈতন্য যেখানে দাঁড়িয়ে জগন্নাথ দর্শন করতেন সেই অংশের পাথরটি পরে তুলে মন্দিরের উত্তরদ্বারের এখনও রয়েছে।
View this post on Instagram
এই আজকের দিনেই পুরীর জগন্নাথ ধামের থেকে গুণ্ডিচা মন্দির-এ অর্থাৎ মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে। তিন বিগ্রহকে সেখানে সাত দিন রেখে আবার উল্টোরথের সময় মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়৷ আজকের রথ যাত্রার দিনেই যীশু সেনগুপ্তকে পাওয়া গেল নতুন লুকে। একেবারে রাফ অ্যান্ড টাফ লুকে হাজির তিনি, পরনে ব্লু গেঞ্জি, চোখে মুখে স্মার্টনেসের দীপ্তি। দেখে বোঝার উপায় নেই এই যীশু একটা সময় ছোট পর্দার মহাপ্রভু ছিলেন।