পুজোর বাড়তি মেদ ঝরবে এক হপ্তায়, এই পানীয়তেই হবে ম্যাজিক!
উৎসব শেষ। চার দিনের বাঁধন ছাড়া আনন্দের পর এবার দৈনন্দিন রুটিনে ফেরার পালা। এই কদিনে প্যান্ডেল হপিংয়ের পাশাপাশি চলেছে দেদারে খাওয়াদাওয়াও। ডায়েট ভুলে কয়েক দিনে প্রিয় খাবারে মজেছিল সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরাও। এবার ফের লাগাম টানার পালা। বাইরের তেল মশলাদার খাবারের থেকে যে ক্ষতিটুকু হয়েছে শরীরের তা পূরণ করতে হবে। কমাতে হবে বাড়তি ওজনও। এর জন্য রান্নাঘরে থাকা কিছু উপকরণেই হবে বাজিমাত।
ওজন কমানো এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ডিটক্স পানীয়র (Detox Water) থেকে ভালো কিছু হয় না। এই পানীয় বানানো যতটা সহজ ততটাই এগুলো সুস্বাস্থ্যের পক্ষে জরুরি। এই পানীয়ের পুষ্টিকর উপাদান শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলি বের করে স্বাস্থ্য বজায় রাখে। রান্নাঘরে থাকা খুব সহজলভ্য কয়েকটি উপকরণ দিয়েই বানানো যাবে এই পানীয় গুলি। কী কী লাগবে আর কীভাবে বানাবেন এই ডিটক্স পানীয় তা জানার জন্য প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ুন।
এক গ্লাস জলে একটি পাতিলেবুর রস এবং আদার কয়েকটি টুকরো ফেলে দিন। তারপর জলটা ভালো করে ফুটিয়ে আমার টুকরো গুলি তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলুন জলটা। এই ডিটক্স পানীয় ওজন কমানোয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। শরীরেও অনেক ক্ষতি রোধ করে।
দারচিনি এবং মধুর ডিটক্স ওয়াটারও খুবই কার্যকরী। এক কাপ জলে দারচিনি এবং মধু মিশিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি ডিটক্স পানীয়। দারচিনিতে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। মধুতেও রয়েছেন প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুয়ের মিশ্রণে তৈরি ডিটক্স পানীয় ওজন কমানোর পাশাপাশি হৃদরোগের সমস্যাও দূরে রাখে। শসা এবং পুদিনার জলও শরীরের পক্ষে উপকারী। এক গ্লাস বা এক বোতল জলে কয়েক টুকরো শসা আর পুদিনা পাতা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে এই জল পান করলে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি ওজনও কম থাকবে। এক দিন অন্তর অন্তর পান করতে পারেন এই জল।