Bengali SerialHoop Plus

জীবনে এসেছে পরিবর্তন, মা তারার চরিত্র করতে গিয়ে নিজের উপলব্ধি নিয়ে মুখ খুললেন পর্দার ‘বড়মা’

কৌশিকী অমাবস‍্যা, বাংলা তথা ভারতের তন্ত্রসাধনায় এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনটি তারাপীঠে মা তারার জন্মদিন হিসাবে পালিত হয়। এই কারণে সমগ্র বাংলা জুড়ে যেসব স্থানে মা তারার মূর্তি রয়েছে, সব জায়গায় বিধিমতে বিশেষ পুজো হয়। কিন্তু নবনীতা দাস (Nabanita Das)-এর কাছে এই দিনটি একটু অন্যরকম। কারণ তিনিও যে মা তারা।

তবে তিনি রিয়েল লাইফে মা তারার অংশে জন্ম না নিলেও রিল লাইফে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে মা তারার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। নবনীতা চরিত্রটির সঙ্গে যথেষ্ট একাত্ম বোধ করেন। 2019 সালের 2 রা জানুয়ারি মা তারার ভূমিকায় প্রথমবার ক্যামেরার সামনে শট দিয়েছিলেন নবনীতা। তারপর থেকে প্রায় আড়াই বছর ধরে এই মহাজাগতিক চরিত্রটি তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই চরিত্রে অভিনয় শুরু করার পর তাঁর জীবনেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ শুরুর অনেক আগে থেকেই জিতু কমল (Jitu Kamal)-এর সঙ্গে আলাপ নবনীতার। এরপর তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেকে এক নতুন রুটিনে বেঁধে ফেলেছিলেন নবনীতা।

মা তারার চরিত্রে অভিনয়ের শুরু থেকেই সঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুম ও মেডিটেশন শুরু করেন তিনি। এই চরিত্র তাঁর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে। নবনীতা ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও আচার বা নিয়মে বিশ্বাসী নন। তিনি শুভ শক্তির পূজারিণী। নবনীতা যাঁর থেকে পজিটিভ ভাইব পান, তাঁর পাশে বসে কথা শুনতে ভালো লাগে তাঁর। ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর প্রোমো শুটের জন্য শান্তিনিকেতনের অনেক ভিতরে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ফ্যান চালিয়ে, পাতা উড়িয়ে অতিপ্রাকৃত পরিবেশ সৃষ্টি হলেও নবনীতা সেই সময় থেকে নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন অনুভব করেছিলেন।

নিজের মেকআপ অনেক সময় নিজেই করে নেন নবনীতা। তিনি জানিয়েছেন, মা তারার কস্টিউম ও গয়না অত্যন্ত ভারী। স্ক্রিপ্ট পড়ার সময় ভয়েস মডিউলেট করে মা তারার গলায় পড়লেও অন্য সময় সাধারণ গলাতেই কথা বলেন তিনি। সব মিলিয়ে মা তারার চরিত্র তাঁর কাছে অনেক পজিটিভ। নবনীতা জানালেন, কৌশিকী অমাবস‍্যার দিনে তাঁদের ফ্লোরে পুজো হয়। ফ্লোরে ব্যবস্থা না হলেও কোনো না কোনো কলাকূশলী তাঁর বাড়িতে পুজোর ব্যবস্থা করেন। ফলে মায়ের দর্শন হয়েই যায়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Nabanita❤ (@nabanita.das)

whatsapp logo