গত শুক্রবার দোল উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রঙের উৎসবে টলিউড থেকে বা বলিউড সকলেই মেতে উঠেছে। বিভিন্ন টলি-তারকাদের মনের মানুষদের সঙ্গে রং খেলার ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে। দোলের দিনে কমবেশি সবাইকেই রং মেখে ভূত হয়ে যেতে হয়। দোলের দিন বাইরে বেরোলে রং মাখবে না এমনটা তো হয়না। দোলের শুরুটা হয়তো হয় তিন আঙ্গুল আবির দিয়ে কিন্তু দোলের শেষে সবাই রং মেখে একাকার হয়ে যায়।
তবে তারকা মহল এত উগ্র ভাবে দোল খুব একটা খেলেনা। তারা ঘরোয়াভাবে নিজেদের মধ্যে সামান্য আবির দিয়ে দোল খেলেন। কিন্তু কেউ কেউ এর মধ্যে এসবের কোন ছুতমার্গ মানেন না। তারা নির্দ্বিধায় রং মেখে ভূত হয়ে থাকেন। কারণ তাদের মতে খেলবো হোলি রং দেবোনা তাই কখনও হয়?
আর এইভাবে উগ্র দোল খেলার ফলে রং ওঠানোটাও রীতিমতো ঝামেলার হয়ে পরে। বার বার সাবান দিয়ে ঘষেও রং উঠতে চায় না। আর অভিনেত্রী মধুমিতার যে এরকম উগ্রভাবেই হোলি খেলা হয় তা তার সোশ্যাল মিডিয়া দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়। কিন্তু দোল খেলার পর তাঁর কি পরিনতি হয় তা তিনি নিজেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানালেন।
সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে তাকে বাথরুমে শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে ভয়ানক কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। পরনে তার হ্যান্ডলুম শাড়ি। ভিডিওটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি কোনো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের দৃশ্য।
ঠিকই ধরেছেন, এই ভিডিওটি অভিনেত্রীর সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ উত্তরণের দৃশ্য। যেখানে পর্নার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা দিয়েছে তাকে। একটা ছাপোষা গৃহবধূর এমএমএস প্রকাশ্যে ভাইরাল হয়ে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল উত্তরণ। অভিনেত্রীর পোস্ট করা এই ভিডিওতে পর্ণাকে সামাজিক চাপে বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙে পড়তে দেখা যাচ্ছে।
View this post on Instagram
কিন্তু মধুমিতা যে অর্থে ভিডিওটি ব্যবহার করেছেন তা তার ক্যাপশন দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ভিডিওটি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “হোলি খেলার পর এটা অবশ্যই করতে হয়।” অর্থাৎ দোল খেললে রং তুলতে গিয়ে অভিনেত্রী অবস্থাও যে নাজেহাল হয়ে যায় তা বোঝাই যাচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বাথরুমে বসে রং তুলতে গিয়ে যে অভিনেত্রীর চোখের জল বেরিয়ে যায় তা তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই ভিডিওটি পোস্ট করার মাধ্যমে।
অভিনেত্রী এই পোস্ট করা ভিডিওর মন্তব্যে একজন লেখেন,“তোমার জামায় এবং গায়ে একফোঁটাও রং নেই তাহলে এটা কি করে হোলির ভিডিও হতে পারে?”