বর্তমানে ট্রোলিং এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবনের। সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা হওয়ার পর থেকেই ট্রোলিং বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলানো থেকে শুরু করে প্রায়শই তাদের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় নেটনাগরিকদের একাংশকে। অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar) এই ট্রোলিং বাহিনীর অন্যতম প্রিয় শিকার। তাঁর প্রতিটি ছবি, ভিডিওতেই কুরুচিপূর্ণ কমেন্ট করতে দেখা যায় কিছু নেটিজেনদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন মধুমিতা। ২.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। অনুরাগীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার কৌশল সহজেই আয়ত্ত করে ফেলেছেন মধুমিতা। প্রায় দিনই কোনো না কোনো ফটোশুটের ছবি, রিল ভিডিও তিনি শেয়ার করতেই থাকেন নেট মাধ্যমে। আর সেসব শেয়ার করা মাত্রই ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় ট্রোলিং। সম্প্রতি কিছু ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী, যার কমেন্ট বক্সে উপচে পড়েছে কুৎসিত মন্তব্য।
অলিভ রঙা একটি ঢিলেঢালা প্যান্টের সঙ্গে পাতলা সাদা স্লিভলেস টপ পরেছেন মধুমিতা। এলোমেলো খোলা চুল, হালকা মেকআপে একেবারেই ক্যাজুয়াল লুকে ধরা দিয়েছেন তিনি। আনমনে বসে ফটোশুট করেছেন মধুমিতা। এই ছবি গুলিতেই উড়ে এসেছে একের পর এক কটাক্ষ। বডি শেমিং এর সঙ্গে সঙ্গে কুৎসিত ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে ভরেছে কমেন্ট বক্স। আবার কয়েকজন মধুমিতার হয়েও কথা বলেছেন। অভিনেত্রীর একটি ফ্যান পেজের তরফে লেখা হয়েছে, ‘একটিও ভালো মন্তব্য চোখে পড়ছে না। এদের তোমাকে নিয়ে কত চিন্তা’। তবে কোনো কমেন্টেরই উত্তর দেননি মধুমিতা।
প্রসঙ্গত, এখন আর ছোটপর্দায় কাজ না করলেও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে মধুমিতার। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই খ্যাতির শীর্ষে উঠছেন তিনি। এমনকি ইনস্টাগ্রামে তাঁর ছবি পৌঁছে গিয়েছে বলিউডেও। বাংলায় মধুমিতাকে শেষবার দেখা গিয়েছে ‘চিনি ২’ ছবিতে। তবে তেমন ভালো চলেনি এই ছবিটি। মধুমিতাকে নতুন সিনেমায় দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন অনুরাগীরা।
View this post on Instagram