BollywoodHoop Plus

শুধু অন্তর্বাস পরে অমিতাভের সঙ্গে রোম্যান্স! রেগে গিয়ে কী কাণ্ড করেছিলেন মাধুরী?

গ্ল্যামার জগৎ দেখতে যতটাই ঝাঁ চকচকে, এই জগতে টিকে থাকাও ততটাই কঠিন। ইঁদুর দৌড়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে অভিনেতা অভিনেত্রীদের এমন এমন সব কাজ করতে হয় যা সাধারণ মানুষ শুনলে হয়তো চমকে উঠবে। অনেক সময়ই তাদের নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। এমনি পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতও (Madhuri Dixit)। সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে নিজের মান সম্মান খোয়ানোর জোগাড় হয়েছিল তাঁর। শেষমেষ কী কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন অভিনেত্রী?

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেত্রীদের তালিকায় নাম থাকবে মাধুরীর। দীর্ঘদিন ধরে হিন্দি ফিল্ম জগতে রাজত্ব করেছেন তিনি। ঝুলিতে অগুন্তি সুপারহিট সিনেমা, অনুরাগীর সংখ্যা তাঁর আকাশছোঁয়া। এখন আর অভিনয় না করলেও গ্ল্যামারে তরুণদেরও টেক্কা দিতে পারেন তিনি। তবে মাধুরীর কেরিয়ারেও কাহিনি কম নেই। একবার তাঁর জেদের বশে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ছবির শুটিং। শেষমেষ অমিতাভ বচ্চন এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

ঠিক কী হয়েছিল? এ ঘটনা ১৯৮৯ সালের। পরিচালক টিনু আনন্দের ‘শনাখত’ ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন মাধুরী। তাঁর সঙ্গে ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভও। ছবির একটি দৃশ্য নিয়েই বেঁধেছিল গণ্ডগোল। মাধুরীকে স্রেফ অন্তর্বাস পরে ক্যামেরার সামনে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরিচালকের নির্দেশ শুনেই সোজা ‘না’ করে দেন অভিনেত্রী। জানা যায়, মাধুরীকে নাকি বলা হয়েছিল, নিজের পছন্দ মতো অন্তর্বাস তিনি বেছে নিতে পারেন। কিন্তু পরতে তাঁকে হবেই।

মাধুরী পরের দিন শুটিংয়েই আসেননি। শুরু হয়ে যায় হাঙ্গামা। পরিচালক-অভিনেত্রীর বিবাদের মাঝে এসে পড়েন বিগ বি। শুটিংয়ে মাধুরীকে অনুপস্থিত দেখে তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁকে সবটা খোলসা করে বলেন পরিচালক। কিন্তু সব কিছু শুনে অমিতাভ মাধুরীকেই সমর্থন করেন। স্পষ্ট প্রশ্ন করেন, যদি তাঁর আপত্তি থাকে তাহলে কেন জোর করা হচ্ছে? কিন্তু টিনুও ছাড়নেওয়ালা নন। তিনি যুক্তি দেন, তবে ছবি সাক্ষর করার সময়ে কেন মাধুরী কিছু বলেননি? শেষে অবশ্য অভিনেত্রীর মুখপত্রের মধ্যস্থতায় বিতর্ক থামে। কিন্তু টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল ওই ছবির শুটিং। তেমন ভাল প্রতিক্রিয়াও পায়নি ছবিটি। এরপরে আর কোনোদিনই একসঙ্গে কাজ করেননি মাধুরী টিনু আনন্দ।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই