বলিউডের জনপ্রিয় বাবা মেয়ের জুটিদের মধ্যে মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt) এবং আলিয়া ভাটের (Alia Bhatt) নাম থাকা অবশ্যম্ভাবী। ইন্ডাস্ট্রির নামী পরিচালক মহেশের দ্বিতীয় বিয়ের সন্তান আলিয়া। কিন্তু তাঁর সকল সন্তানদের মধ্যে তিনিই সবথেকে সফল বলা চলে। তাই বাবারও অনেকটাই কাছের আলিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহেশকে নিয়ে প্রায়ই ছবি শেয়ার করতে থাকেন অভিনেত্রী। বাবা মেয়ের মিষ্টি সম্পর্ক বেশ পছন্দ করেন নেটিজেনরা।
তবে একথা কারোরই জানতে বাকি নেই যে মহেশ ভাটের জীবনে রয়েছে বহু বিতর্ক। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই তৈরি হতে পারে আস্ত এক সিনেমা। একাধিক বিয়ে, পরকীয়া থেকে শুরু করে নিজের মেয়েকে পর্যন্ত ছাড়েননি তিনি। বড় মেয়ে অভিনেত্রী পূজা ভাটের সঙ্গে তাঁর লিপ কিসের ছবি বলিউডের সর্বকালীন চর্চিত বিতর্কগুলির মধ্যে অন্যতম। এমনকি সমস্ত মাত্রা ছাড়িয়ে মহেশ ভাট এও বলেছিলেন যে, পূজা যদি তাঁর নিজের মেয়ে না হত তবে তিনি তাঁকে বিয়ে করতেন।
আলিয়াও এই বিতর্ক সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এবং বেশ বিব্রতও থাকেন তিনি। এমনকি অভিনেত্রী একবার এও জানিয়েছিলেন, অনেকে ভাবেন তিনি মহেশ ভাট এবং পূজা ভাটের অবৈধ সন্তান! এতশত বিতর্কের মাঝেই এবার প্রকাশ্যে এল এমন এক বিষয় যা রাতারাতি চর্চায় এনে ফেলেছে বাবা মেয়ে জুটি মহেশ এবং আলিয়াকে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পূজা নয়। ছোট মেয়ে আলিয়ার সঙ্গেও এমন কিছু করেছিলেন বাবা মহেশ ভাট যা শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছেন নেটনাগরিকরা।
টাকার লোভ দেখিয়ে নিজের মেয়েকে কিছু কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন মহেশ ভাট। একথা তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে একবার স্বীকার করেছিলেন। পরিচালক জানিয়েছিলেন, তিনি ছোট্ট আলিয়াকে অর্থের লোভ দেখাতেন, আর তাতেই হত কাজ। কিন্তু মেয়েকে দিয়ে কী এমন করাতেন মহেশ? আসলে তিনি জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় ৫০০ টাকার বিনিময়ে আলিয়াকে দিয়ে নিজের হাত পা টেপাতেন তিনি। ব বার কথায় সায় দিয়ে অভিনেত্রীও জানিয়েছিলেন, টাকার জন্য বাবার হয়ে সবকিছু করতেই রাজি ছিলেন তিনি।