সাম্প্রতিক কালে তৃণা সাহা (Trina Saha) ও সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)-এর ইগোর লড়াই নিয়ে সরগরম হয়েছে স্টুডিওপাড়া। ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজ থেকে রিপ্লেস করা হয়েছে তৃণাকে। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে রিপ্লেস করা হতে পারে আরও কয়েকটি ওয়েব সিরিজ থেকেও। কিন্তু নায়িকাদের ইগোর লড়াইয়ের সমস্যা বহু পুরানো। সঞ্জয় লীলা ভনশালী (Sanjay Leela Bhansali) নির্মিত ফিল্ম ‘দেবদাস’-এ সমস্যা তৈরি হয়েছিল মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit Nene) ও ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai Bachchan)-এর মধ্যে। তবে তা নিয়ে জলঘোলা হয়নি। কিন্তু স্বর্ণযুগের দুই কিংবদন্তী অভিনেত্রী মালা সিনহা (Mala Sinha) ও শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)-এর বন্ধুত্বে পূর্ণচ্ছেদ পড়েছিল একটি ফিল্মে কাজ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
View this post on Instagram
শর্মিলার সাথে মালার বন্ধুত্ব হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুবাদে। কিন্তু একসময় মালার জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। তাঁর উপার্জনের উৎস নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই কৌতুহল প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন। কারণ উপার্জনের তুলনায় মালার লাইফস্টাইল ছিল বিলাসবহুল। শোনা যাচ্ছিল, মালার বাবা অ্যালবার্ট সিনহা (Albert Sinha) তাঁর মেয়েকে যৌন পেশায় নামতে বাধ্য করেছেন। এই পরিস্থিতিতে 1968 সালে জয় মুখোপাধ্যায় (Joy Mukherjee) নির্মিত ফিল্ম ‘হামসায়া’-র সেটে মালার সাথে শর্মিলার সমস্যার সৃষ্টি হয়। জয় কিন্তু দুই নায়িকাকেই সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন। প্রথমদিকে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল পোশাক নিয়ে। শর্মিলা ও মালা দুজনেই মনে করছিলেন, তাঁদের পোশাকের ডিজাইন যথাযথ নয়।
কিন্তু পরবর্তীকালে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে চিত্রনাট্য ও সংলাপ নিয়ে। সমস্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় একটি বিশেষ দৃশ্য গ্রহণের সময়। শোনা যায়, কেরিয়ারের দিক থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়র মালা তাঁর জুনিয়র শর্মিলাকে চড় মেরেছিলেন। তবে শেষ অবধি জয় সমস্ত সমস্যা সামলে ফিল্মের শুটিং সম্পূর্ণ করেন। পরবর্তীকালে অবশ্য দুই নায়িকাই এই ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন।
View this post on Instagram
একটি সাক্ষাৎকারে মালা বলেছিলেন, ফিল্মের পাবলিসিটির জন্য এই ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ ছিলেন শর্মিলাও।