সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যতই আধুনিক হোক না কেন, কুসংস্কার (Superstition) এবং অন্ধবিশ্বাস এখনো ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে অনেকের মনে। আবার কারোর কারোর কিছু বিশেষ ধারণা এবং বিশ্বাস রয়েছে যেগুলি তারা যে কোনো পরিস্থিতিতেই মেনে চলেন। তারকাদের মধ্যেও এমন ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়। টলিউড তারকাদের মধ্যেই অনেকের কিছু সংষ্কার এবং বিশ্বাস রয়েছে যার বাইরে তারা যান না। সেগুলি শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়- জ্যোতিষ মতে, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের লাকি নম্বর ৩ এবং ৬। তাই তাঁর জীবনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জিনিসে ৩ সংখ্যা দুটি থাকেই। তাঁর মোবাইল নম্বর থেকে শুরু করে গাড়ির নম্বরেও থাকে এই দুই সংখ্যা। এমনকি জানলে অবাক হবেন, শুটিং বা অন্য কাজে কোথাও অভিনেতার হোটেলের ঘরের নম্বর ৩ বা ৬ হতে হবেই।
টোটা রায়চৌধুরী- তাঁর লাকি নম্বর ৯। অভিনেতার জন্মদিন ৯ তারিখে। তাঁরও গাড়ির নম্বর প্লেট থেকে মোবাইল নম্বর ৯! তিনি ৯ এর গুণিতক ১৮ বা ২৭ তারিখে নতুন প্রোজেক্টে হাত দেন।
রাইমা সেন- বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে কেউ হাঁচি দিলে বা পেছন থেকে ডাকলে দু মিনিট অপেক্ষা করে তারপর বেরোন তিনি।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত- তাঁরও লাকি নম্বর ৩ এবং লাকি রঙ লাল। তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেরোলে লাল পোশাক পরেন তিনি এবং ব্যাগে সব সময় রাখেন একটি লাল লিপস্টিক।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়- তাঁর লাকি নম্বরও ৩। তার উপর স্বামী রাজ চক্রবর্তীর জন্মদিন ২১ তারিখে হওয়ায় এই নম্বরটির গুরুত্ব আরো বেড়ে গিয়েছে তাঁর কাছে। শুভশ্রীর গাড়ির নম্বর প্লেটে রয়েছে ২১ সংখ্যাটি। অন্যদিকে রাজের গাড়ির নম্বর প্লেটে রয়েছে ১১১ যা যোগ করলে দাঁড়ায় ৩।
অঙ্কুশ হাজরা- খুবই প্রাণোচ্ছল এই অভিনেতার এক অদ্ভূত বিশ্বাস রয়েছে। তিনি কোনো নীল রঙের গাড়িতে ওঠেন না। গাড়ির নম্বর প্লেটে ১১ সংখ্যাটি রাখেন। সিনেমার প্রথম শট এবং কোনো শো শুরুর আগে মেপে মেপে ঠিক ১১ মিনিট তিনি কথা বলেন। তার বেশি নয়। তাঁর কোনো ফ্লাইট থাকলে টেক অফের ১১ মিনিট আগেও কারোর সঙ্গে কথা না বলে প্রার্থনা করেন তিনি।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়- বাড়ি থেকে কখনো তিন জন একসঙ্গে বেরোন না তিনি। গাড়ি চালানোর সময় কোনো গাড়ি সামনে দিয়ে পেরিয়ে গেলে দু মিনিট অপেক্ষা করে তারপর যান সায়ন্তিকা।
পার্নো মিত্র- অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই ১২-১৫ টি ফোন হারিয়ে বসে আছেন। তাই মোবাইল নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন তিনি। দু মিনিট অন্তর ব্যাগে মোবাইল আছে কিনা দেখে নেন।