শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে রাজ্যের একাধিক স্কুল, নিয়োগ নিয়ে বড় আপডেট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর
রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment)। শিক্ষক দুর্নীতিতে কাঠগড়ায় উঠেছে রাজ্য। এখনো এই মামলায় প্রায় ২৬০০০ জনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল। এমতাবস্থায় ফের কবে নিয়োগ হবে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এমতাবস্থায় রাজ্যে স্কুলগুলির কার্যত বেহাল দশা। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে স্কুলগুলিতে বন্ধ হতে বসেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব। কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে, মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে চালাচ্ছেন স্কুল। আবার কোথাও ছাত্রসংখ্যা হিসেবে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা অত্যন্ত কম। এর ফলে পড়ে যাচ্ছে শিক্ষার মান। রাজ্যে বেশ কিছু স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি শুরু হবে, তত তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার স্কুলগুলিতে উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবের কারণে প্রভাব পড়ছে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যায়। অনেক জায়গায় ছাত্রীরা মাধ্যমিক পাশের আগে ছেড়ে দিচ্ছে স্কুল। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প বা বৃত্তি থাকা সত্ত্বেও বেড়ে চলেছে স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যা।
জানা যাচ্ছে, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল কলেজ মিলিয়ে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে শিক্ষকের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষক নিমোগ। শিক্ষক মহলের বক্তব্য, শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়োগের ক্ষেত্রে অবিলম্বে স্বচ্ছতা আনা জরুরি। নয়তো রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার মান আরো পড়বে বলে মতামত শিক্ষক শিক্ষিকাদের।