একাধারে তিনি সাংসদ; লক্ষাধিক মানুষের কথা তাকে ভাবতে হয় সময়ে অসময়ে। অন্যদিকে তিনি একজন অভিনেত্রীও; পিছনে রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল এক ফিল্মি কেরিয়ার। তবে এসবের মাঝে মানুষ হতে ভুলে যাননি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। এর আগেও তার মানবিক রূপের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিনোদন জগৎ। তবে এবার তিনি করলেন এক মহৎ কাজ। ৫ জন যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীকে দত্তক নিয়ে আরেকবার বুঝিয়ে দিলেন, এসবের মাঝেও ‘জনদরদী’ হতে তিনি ভুলে যাননি, মুছে যায়নি তার অন্তরের মানবিকতা।
শুক্রবার ভাঙড়ের নলমুড়ি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির একটি আলোচনা সভায় উপস্থিত হন মিমি। সেখানেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের জিড়ানগাছা ও নলমুড়ি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে বেশ কয়েকদিন নিযুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। আর এই গুরুদায়িত্ব পাওয়ার পর এদিনই ছিল তার প্রথম সাক্ষাৎ। শুক্রবার সকালেই ওই হাসপাতালে উপস্থিত হন তারকা সাংসদ। তারপর তিনি হাসপাতালের চারপাশ ঘুরে দেখেন এবং চিকিৎসক, নার্স ও সাপোর্ট স্টাফেদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর এলাকার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন মিমি। সেখানেই তিনি বেশ কিছু দরিদ্র অসহায় টিবি রোগীর কথা জানতে পারেন এবং তাঁদের পাশে থাকার কথা দেন মিমি। পাঁচজন টিবি রোগীর দত্তক-ও নেন মিমি। তাঁদের চিকিৎসার পাশাপাশি দ্রুত শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যুক্ত খাবার ও যাবতীয় ব্যবস্থার ব্যায়ভার তিনি বহন করবেন বলেও জানান অভিনেত্রী সাংসদ।
প্রসঙ্গত, এর আগেই তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মানবিক রূপের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। এর আগে দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় ‘চা-কাকু’র পাশে দাঁড়ানোর গল্প সকলেই জানেন কমবেশি। আবার কোনোদিন রাস্তা থেকে অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালেও পৌঁছে দিয়েছেন মিমি। এছাড়াও দুবছর আগে মিমির একটি গানের কমেন্ট বক্সে এক প্রতিবন্ধী মানুষের কমেন্ট পড়ে তাকেও সাহায্যের আশ্বাস দেন মিমি। আর এবারেও তার দত্তক নেওয়ার পদক্ষেপ যেন সেই গল্পেরই আরেক ভাগ হয়ে রইল।
View this post on Instagram
সিনেমা, রাজনীতি ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে বেশ খোলামেলা মিমি চক্রবর্তী। এর আগে নানা সভায় পরিমিত বক্তব্যের সঙ্গে তার নম্রতা সহজেই মন জয় করেছিল সকলের। তাই হয়তো নবাগত হয়েও যাদবপুরের মতো কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে জিততেও অসুবিধা হয়নি মিমির।