আবারও মিশমি দাস (Mishmee Das), আবারও বিকিনি, আবারও সমালোচনা। ক্লান্ত বোধ করছেন না নেটিজেনদের একাংশ। ক্লান্ত নন মিশমিও। এ যেন এক অঘোষিত যুদ্ধ চলছে নেটদুনিয়ায়। কিছুদিন আগেই বিকিনি পরা ছবি নেটদুনিয়ায় শেয়ার করে বডি শেমিং-এর সম্মুখীন হয়েছিলেন মিশমি। কিন্তু থেমে যাওয়ার পাত্রী নন তিনি। ফলে আবারও বিকিনি পরা ছবিই ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করলেন তিনি।
গতবারের মতো এবারেও মিশমির শেয়ার করা ছবি গোয়ার। গত বছর গোয়ায় গিয়ে সি-বিচে এই ছবিগুলি তুলেছিলেন মিশমি। ছবিতে মিশমির পরনে রয়েছে কালো রঙের বিকিনি। সি-বিচের বালিতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের সময় ছবিটি তুলেছেন মিশমি। দূরে দেখা যাচ্ছে সমুদ্র। ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে মিশমি লিখেছেন, স্বর্গ বোধহয় এই রকমই হয়। তার সাথেই সমুদ্রের ধারে নারকেল গাছের ইমোজি জুড়েছেন তিনি। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘বিচবাম’ কথাটি। কিন্তু এরপরেই ছবির কমেন্ট বক্সে শুরু হয়ে গিয়েছে বাকযুদ্ধ।
সোনালী গোস্বামী ব্যানার্জী (Sonali Goswami Banerjee) নামে একজন ব্লগার মিশমির ছবিতে কমেন্ট করে লিখেছেন, মিশমির উচিত পেট ভরে খাওয়া-দাওয়া করা। কারণ তাঁর ফিগার মনে হচ্ছে পুষ্টির অভাব হয়েছে। বডি শেমিং করা অনুচিত হলেও এই ধরনের ফিগার কখনও ‘মাই বডি মাই চয়েস’ বলে চালানো যায় না। সোনালীর কথার উত্তরে সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্র (Sanghasri Sinha Mitra) লিখেছেন, সোনালী কমেন্টের চয়েসের মতো যার বডি তার চয়েস বলাই যায়। সঙ্ঘশ্রীর মতে, সত্যিই যদি এই পৃথিবীতে নিজের পছন্দের কথা বলার স্বাধীনতা থাকত, তাহলে সোনালীর মতো শখের অযাচিত ব্লগারদের রাস্তার মোড়ে চাবুক পেটা করা হত।
থেমে থাকেননি মিশমিও। তিনি সোনালীকে আক্রমণ করেছেন ও লিখেছেন, অশিক্ষিত হওয়ার কারণেই সোনালী এই ধরনের বোকা বোকা কথা বলছেন। এর ফলে তিনি নিজেই হাস্যকর হয়ে উঠছেন। সোনালীকে নিয়ে সঙ্ঘশ্রী ও মিশমি যতই মত প্রকাশ করুন, নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই লিখেছেন, তালপাতার সেপাই। কেউ লিখেছেন, ঝাঁটার কাঠি। কেউ লিখেছেন তালগাছের মতো লাগছে। আপাতত মিশমি ও সঙ্ঘশ্রী চুপ করে রয়েছেন। এত মন্তব্যের স্রোতের কাছে তাঁরা আর কোনো উত্তর দেননি।
View this post on Instagram