বাঙালি পুরুষ মিঠুন চক্রবর্তীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে ছিলেন সেসময় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীদেবী। সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত টেঁকেনি। ঠিকই কিন্তু তারা দুজনই গসিপের মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন, একথা বলাই বাহুল্য। শুরুটা হয়েছিল শিশু শিল্পী হিসাবে। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় থুনাইভান ছবি।
তারপরে একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করতে থাকেন রূপের দেবী শ্রীদেবী। মালায়লাম, তেলেগু, তামিল প্রভৃতি বিভিন্ন সিনেমায় জনপ্রিয়তার সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন এই নায়িকা।
তবে বলিউডের আশির দশকে মিঠুন শ্রীদেবীর পরকীয়া প্রেম নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল। সম্পর্ক এতদূর এগিয়ে ছিল কানাঘুষো শোনা যায়, তারা নাকি বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছিলেন।
তবে সম্পর্কের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি। মিস্টার ইন্ডিয়া সিনেমার মধ্য দিয়ে শ্রীদেবীর সঙ্গে পরিচয় হয় বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযোজক বনি কাপুরের। তিনিও ছিলেন বিবাহিত। কিন্তু তাতে কি, এই নায়িকার রূপের ঝলকে তিনিও মজে যান।
তবে এই সময় মিঠুনের পক্ষে যোগিতাকে ছেড়ে চলে আসা সম্ভব হয়নি। কারণ যোগিতা ছিলেন তার সন্তানের মা। শ্রীদেবীর মায়ের এক বেশ মোটা অংকের দেনা শোধ করেছিলেন বনি কাপুর। তাই হয়তো তার মন একটু গলেছিল। অবশেষে শ্রীদেবী গাঁটছড়া বাঁধেন বনি কাপুরের সঙ্গে। পরে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন জাহ্নবী ও খুশি।