রাত ৮টা বাজলে টেলিভিশনের ওপারে যে শিক্ষক আর ছাত্রীর প্রেমের যে কেমিস্টি আমরা দেখতে পাই সেটি হল “মোহর”। ধারাবাহিক। শঙ্খ এবং মোহরের কেমিস্ট্রির জন্য এই ধারাবাহিক এখন টিআরপিতে শীর্ষ স্থানে বিরাজমান। আর করোনাকালে চারিপাশেই এতই খারাপ খবর চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার মধ্যে মোহর সেটে ঘটে যায় খারাপ খবর। গত সপ্তাহে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি হলেন শঙ্খ স্যার ওরফে প্রতীক সেন।
প্রতীক বহু বছর ধরে রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন। আর সেই থেকেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি আপাতত হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। দিন যত যায় পরিচালকের ঘুম উড়ে যায় সাথে সাথে প্রতীকের অসুস্থতার পর মোহর অর্থাৎ সোনামনির ঘুম উড়ে যায়। মন্দিরে গিয়ে মাথায় সিদুঁর পড়ে স্বামীর সুস্থতার জন্য শিব লিঙ্গের কাছে মাথা ঠোকেন প্রার্থনা করেন। উপোস শুরু করেন। অবশেষে মোহরের প্রার্থনা শুনলো মহাদেব। এখন শঙ্খ সুস্থ হয়ে আবার মোহরের কাছে ফিরে এসেছেন। মোহরকে চমকে দিয়ে স্ত্রীর উপোস ভাঙলেন স্বামী।মোহর সেটে প্রাণ ফিরে এসেছে।
মোহর-শঙ্খের গোপন বিয়ের কথা জানাজানি হতেই টানাপোড়েন শুরু হয় শঙ্খের পরিবারে। জ্যেঠুমণি শঙ্খকে জোড়হাতে ভিক্ষে চান মোহরের কাছে। মোহর জ্যেঠা শ্বশুরের কথা শুনে শঙ্খেকে ছেড়ে চলে যায়। প্রথমে শঙ্খ ভুল বুঝলেও সত্যি জানার পর মোহরের সাথে খুনসুটি শুরু করেন। অন্যদিকে মোহরের সামনে শ্রেষ্ঠাকে মিথ্যে বিয়ে করার নাটক শুরু করেন। এরপর শুরু হয় পরিবার থেকে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা। তাহলে কার মাথায় উঠবে শঙ্খের সিদুঁর। তাহলে কি এবার স্যার আর ছাত্রীর মিল হবে। অবশ্য এর জন্য দেখতে হবে রাত ৮টা তে মোহর ধারাবাহিক।
