রাত ৮ টা মানেই খড়কুটো শেষ এবার মোহরের আসার পালা। বয়স্ক থেকে টিনেজ সকলের প্রিয় ধারাবাহিক। আসলে এর প্রিয় পিছনে আছে অন্য আকর্ষণ। আসল হল কলেজের অধ্যাপকের সাথে কলেজ পড়ুয়ার প্রেম। প্রতীক আর সোনামনির অভিনয়ে মুগ্ধ করেছেন বাঙালি দর্শকদের। আসলে বাস্তবজীবনের গল্প, সংসারের রোজকার সুখ-দুঃখের গল্পের থেকে ছক ভেঙে অন্য সিরিয়ালগুলোর গল্পের আকারে তুলে ধরা হয় বলেই টিআরপি সবসময় প্রথম দিকে থাকে।
এবারে তো মোহদ্বীপের বিয়ে তাই এই নিয়ে বেশ উত্তেজনায় দর্শকগণ। আগেও অবশ্য শঙ্খের সাথে বিয়ে হলেও সেই বিয়ে শঙ্খের পরিবার মানেনি। এবার পুরো পরিবারের সামনে বিয়েটা সেরেই নিলেন শঙ্খ স্যার। আর এই বিয়ের অনুষ্ঠান গুলি টিআরপিতে পর পর হ্যাট্রিক করল। তিন সপ্তাহ ধরে টিআরপিতে প্রথম স্থান অধিকার করে নিল।
বিয়ের পরও ষড়যন্ত্র কমেনি৷ শ্রেষ্ঠা বিয়ের পর কোল্ড ড্রিংক্সে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। অবশ্য শঙ্খ নিজের প্রাক্তনের উদ্দেশ্য সফল করতে দেননি। কিন্তু এখানেও শেষ নেই, শ্রেষ্ঠার জায়গায় মোহরকে শঙ্খর স্ত্রী হিসেবে দেখে এখনো অনেক বাড়ির একাধিক মানুষ মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণেই মোহরকে নিয়ে নানা কুমন্তব্যই শুনতে হচ্ছে বাড়ির লোকজনদের থেকে। এদিকে মোহর ও বিয়ের পর প্রতিবাদ করতে ভোলেননি। সেও নিজের শ্বাশুড়ি ওরফে অদিতি ম্যামের জন্য লড়াই করছেন। অন্যদিকে শঙ্খর আত্মীয়রা বিয়ের পরই একেবারে হামলে পড়েছে মোহরের উপর।
যদিও শঙ্খর শক্ত হাতে প্রতিটি পরিস্থিতি সামলে মোহরের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। মোহরের সম্মান রক্ষার্থে প্রতিপদে স্ত্রীয়ের পাশে থেকে গলা মেলাচ্ছে। শঙ্খ ওরফে প্রতীক সেনগুপ্ত বেশ খোসমেজাজে আছেন। স্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুশিতে ডগমগ করছেন প্রতীক। তাই তো থ গলা ছেড়ে গান ধরেছেন ‘তামাশা’ ছবির ‘আগর তুম সাথ হো।’ খালি গলায় চার লাইন ভীষণ সুরেলা গাইলেন অভিনেতা। শঙ্খের সাজ ছেড়ে গানের ক্লিপিংয়ে মাত দিলেন নেটিজেনদের। অবশ্য শঙ্খের সাজে নয় প্রতীকের সাজে এলেন ফ্যানদের সামনে। পরণে লেদার জ্যাকেট, টি শার্টে বেশ স্মার্ট। এলোমেলো চুল আর মুখ ভরা হাসিতে প্রতীক বহু নারী মন জিতে নিলেন। মুহূর্তে ভাইরাল এই ভিডিও।
View this post on Instagram
