ঋষি-পিহুর সংসারে আবার লাগল আগুন! সবেমাত্র ভালোবাসতে শিখছেন ঋষি। মিস বৃষ্টি বাড়িকে চোখে হারিয়ে চলেছেন। পিহু তো ইতিমধ্যে জেনেই ফেলেছেন ঋষিই হলেন তাঁর ছোট্ট বেলার ভালোবাসা টুবাই দা। এইতো কিছুদিন ভ্যালেন্টাইনস ডে তে কিছু বিশেষরকম অনুভূতি ভাগ করে নিলেন দুজনে মিলে। নতুন করে ভালোবাসা বাসা বাঁধার গল্পে আবার কিসের আগুন? ‘মনফাগুন’ ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো হাজির হয়ে গিয়েছে দর্শকদের সামনে।
প্রোমোটির শুরুটা আবেগ দিয়ে হলেও শেষটা কিন্ত ভয়ংকর। দেখা যাচ্ছে আলমারির উপর থেকে কিছু নামাতে ব্যস্ত পিহু। হাওয়ায় উড়ে গেল শাড়ির আঁচল। তবে ঋষির মুখে গিয়ে পড়ল না। তবুও ঋষি এসে স্ত্রী-র কোমরে আঁচলখানা গুঁজে দিয়ে বললেন, “সামনে আমার বিয়ে, পারবেন তো আমায় ডিভোর্স দিতে।” পিহুও মনে মনে বলে দিলেন, যাই হোক করে হোক এই পরিবারকে আগলে রাখার দায়িত্ব তাঁর। এদিকে ঋষিও নাকি বাবার মতো পরিবারকে পথে বসাবেন না পন করে নিয়েছেন।
ঠিক পরক্ষণেই দেখা গেল, ঋষির বাবার পুরোনো প্রেমিকার অনুপ্রবেশ, “অপ্রতিম সেনশর্মা, চিনতে পারছো, আমি তোমার পিএ।” শুধু এখানেই শেষ নয় জানা গেল ওই মহিলাটি আসলে ভিলেন সৌমেনের দিদি। মানে আর এক নতুন ভিলেন। সব মিলিয়ে এক ডবল ধামাকা না দুই ডবল ধামাকা বোঝাই দায়। প্রোমোটি দেখে দর্শকদের প্রশংসা ফেটে পড়ছে। কিছুজন তো দারুন উত্তেজিত “কি সুন্দর প্রোমো। পুরো এপিসোডখান টেলিকাস্ট হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।” কারোর ভাষায়, “এবার জমবে মজা। এটা একদম অপ্রত্যাশিত যাকে বলে।”
বসন্ত তো হাজির অথচ ‘মন ফাগুনে’ কিন্তু ফাগুনের বেশ অভাব। শুধু লড়াই চলে যাচ্ছে। ছোটবেলার ভালোবাসাকে খুঁজে পাওয়ার লড়াই, ফিরে পাওয়ার লড়াই, সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার লড়াই, পরিবারকে আগলে রাখার লড়াই, আরো কত কি! তবে একটা বিষয় কিন্তু ঋষি-পিহুর মধ্যে একেবারে এক রকম। দুজনেই চেষ্টা করতে নিজেদের মতো করে পরিবারকে রক্ষা করার। লড়াই হলো, রক্ষাও না হয় হলো। কিন্তু শেষমেষ পিহু কি পারবে নিজের টুবাই দার ছোটবেলার ভালোবাসার সাথে তাঁর শৈশব টাও ফিরিয়ে দিতে? নতুন ভিলেন এসে কোনো নতুন গোলযোগ বাঁধাবে আবার?
