Morning School: আবারো কি বাড়ছে গরমের ছুটি? নতুন নির্দেশিকা শুনেই খুশি অভিভাবকরা
পশ্চিমবঙ্গের গরমের ছুটি শেষ হয় গিয়ে তিনদিন বিদ্যালয় চালু হয়ে গেল। আছে একদিন জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে হাফ ছুটি হয়েছে বিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রীরা। গরমে নাকানিচোবানি খাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। এরকম পরিস্থিতিতে কি স্কুলগুলিতে আবারও গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হবে? কি বলছে শিক্ষা দপ্তর? বর্ষা উত্তরবঙ্গে আটকে আছে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা তার খেল দেখাচ্ছে, একটার পর একটা বাঁধ ভেঙে গিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গেছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে আসবে এখনও পর্যন্ত কোনো রকম খবর শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরমে পাগল হয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবাসী। তবে আজকেই সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস, আগামী বুধবারের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করছে দক্ষিণবঙ্গে
প্রচন্ড তাপপ্রবাহের সাথে সাথে বাতাসে আর্দ্রতা অত্যন্ত বেশি। যার জেরে ঘর্মাক্ত হয়ে যাচ্ছে মানুষ, ১০ ই জুন সমস্ত সরকারি বেসরকারি স্কুল খুলে গেছে। ২২ শে এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি পড়ে গিয়েছিল তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই তড়িঘড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ছুটির শেষ হওয়ার পরে বিদ্যালয় খোলার পরেও আবারও সেই ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকবৃন্দ।
প্রচন্ড গরমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় নিয়ে যেতে অভিভাবকদের মাথায় হাত পড়েছে অনেকে তো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অভিভাবকরা চাইছিলেন যে মর্নিং এ যাতে স্কুল হয়ে যাক কিন্তু সেটা কি সম্ভব? কি বলছেন সকলে।
কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শিক্ষা দফতর?
রাজ্যের নতুন নির্দেশিকায় অনুযায়ী, জুন মাসের গরমের দিনগুলিতে স্কুলের সময় পরিবর্তন করতে পারবে। এমন জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও আঞ্চলিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই স্কুলগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কোথায়, কত তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহের কেমন পরিস্থিতি চলছে, সবটা বুঝেই যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত স্কুল ছুটি দেওয়া যাবে না, পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী শিক্ষা দফতরের এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। যদি পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়, যদি গরমের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে, তাহলে অবশ্যই বিদ্যালয়গুলিতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হোক এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে মনে হচ্ছে না সরকারকে আলাদা করে ছুটি দিতে হবে। কারণ আবহাওয়া দপ্তর থেকে দারুণ খবর শুনিয়ে দিচ্ছে আগামী বুধবারের মধ্যেই বর্ষা ঢুকতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। একঘেঁয়ে বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গবাসী নাকাল হলেও আর তাপপ্রবাহ থাকবে না। তাই বিদ্যালয়ে গুলিতে সুষ্ঠুভাবেই ক্লাস করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা।