বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় মুখ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chatterjee)। ‘বালিকা বধূ’ থেকে শুরু করে ‘গয়নার বাক্স’র ভূত পিসিমা, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে বারংবার নিজের বহুমুখী প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি। বাংলা থেকে হিন্দি দুই ভাষার সিনেমাতেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মৌসুমী। তবে পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম চর্চা হয়নি। ‘বালিকা বধূ’ সিনেমার মতোই বাস্তব জীবনেও অত্যন্ত কম বয়সে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল মৌসুমীর। মাতৃত্বের স্বাদও পেয়েছিলেন তিনি তরুণী বয়সে।
জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মৌসুমী। আসলে হেমন্ত কুমারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের বিশেষ আন্তরিকতা ছিল। দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের আত্মীয়তা তৈরি হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তবে এত তাড়াতাড়ি যে মৌসুমীর বিয়ে হয়ে যাবে সেটা আগে থেকে কোনো পরিবারই জানত না। এক রকম পরিস্থিতির চাপে পড়েই সাত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে বাধ্য হন অভিনেত্রী।
আসলে সে সময়ে মৌসুমীর পরিবারের এক গুরুজন স্থানীয় ব্যক্তি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি হেমন্তকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, মৌসুমীর বিয়ে কি তাঁর দেখে যাওয়া হবে না? তাঁর আবদারেই মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় মৌসুমীর। পরীক্ষা আর দিয়ে ওঠা হয়নি তাঁর। পড়াশোনাই ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। তখন তিনি অভিনেত্রী হিসেবে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত। একের পর এক ছবির প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে। তার উপরে আবার মাত্র ১৭ বছর বয়সে মা-ও হয়ে যান মৌসুমী।
তবে এক সময় হতাশা গ্রাস করেছিল মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে। এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি খুব সহজেই সবকিছু পেয়ে যাচ্ছিলেন। ১৭ বছরে সন্তান সুখ, পরিবার, গোল্ডেন জুবিলি ছবি, নিজের মার্সিডিজ গাড়ি সবই ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু এত সহজে সবকিছু পেয়ে যেতে হতাশা এসে গিয়েছিল তাঁর। খিদেটাই চলে গিয়েছিল। মীনা কুমারীর মতো মদ্যপান করে পড়ে থাকতে ইচ্ছা করত তাঁর, মন্তব্য করেছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।