Hoop Story

খরচ প্রায় বুর্জ খলিফার সমান, মুকেশ আম্বানির বিলাসবহুল আবাসন কিভাবে নির্মিত হয়েছিল!

মুকেশ আম্বানির মুম্বইয়ের বাসস্থান হল এমন একটি আবাসন যার পিছনে তিনি যে মাত্রায় খরচা করেছিলেন তাতে মুম্বাইতে একটি বুর্জ খালিফা পর্যন্ত তৈরি হয়ে যেতে পারত। তাঁর এই বিলাসবহুল আবাসনের নাম আন্টালিয়া। এই বাড়ি তৈরি করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ইঞ্জিনিয়ার ভাড়া করে এনেছিলেন মুকেশ আম্বানি। মুকেশ আম্বানি তাঁর এই স্বপ্নের আবাসন তৈরি করার জন্য তাঁর জীবনের অনেক খানি সঞ্চয় ব্যয় করেছিলেন। মুকেশ আম্বানির অনুকরণে ওনার ভাই অনিল আম্বানি এরকম একটি ব্যয়বহুল বাড়ি বানান। কিন্তু কিভাবে তৈরি হল এই বাড়ি চলুন দেখে নেওয়া যাক।

২০০২ সালে মুকেশ আম্বানির পিতা ধীরুভাই আম্বানির জীবনাবসান হয়। তাঁর তৈরি করে দিয়ে যাবা রিলায়েন্সের সাম্রাজ্যের দায়িত্ব অনিল আম্বানি এবং মুকেশ আম্বানির কাঁধে এসে পড়ে।

২০০৩ সালে এই বাড়ি তৈরির জন্য মুকেশ আম্বানির প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০০৬ সালে আন্টালিয়ার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই বাড়িটি তৈরীর জন্য এমন একটি জমির দরকার ছিল যেটি পোক্ত হয় এবং যার চারপাশে কোনও অন্য গগনচুম্বী না থাকে। মুকেশ আম্বানি একটি ট্রাস্টের থেকে ৩৫০০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই জমিটি কেনেন। এই বাড়িটি তৈরীর জন্য তিনি আমেরিকার ডালাস এবং লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ডিজাইনার ভাড়া করে আনেন। এই ম্যানশনের বিলাসবহুল অভ্যন্তরীণ নকশা করেন স্বয়ং মুকেশ আম্বানির পত্নী নীতা আম্বানি।

এই ইমারত তৈরির জন্য দরকার ছিল বিশ্বসেরা ইঞ্জিনিয়ারদের। এই বিল্ডিংটির উচ্চতা 173 মিটার। যে কোনো রকমের ভূমিকম্পকে অবলীলায় সহ্য করতে পারে এই গগনচুম্বী ইমারত। অস্ট্রেলিয়ার দুই নামে কোম্পানিকে এই বিল্ডিং তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই কোম্পানির নিজেদের সেরা দিয়ে এই বাড়িটি তৈরি করেন।

এরমধ্যে মুকেশ আম্বানি বাড়িটি তৈরি করার সময়সীমা ২০১০ অবধি বেঁধে দেন। মুম্বইয়ের তীব্র গরমের জন্য কনস্ট্রাকশন কোম্পানিরা এই বাড়ির কংক্রিট রাত্রে বানাতেন। এই ২৭ তলা বিল্ডিং এর প্রত্যেকটা তলাই একে অপরের থেকে আলাদা। কনস্ট্রাক্টরদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র চার বছরেই এই বিল্ডিং তৈরী হয়ে যায়। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আম্বানি পরিবার মহাসমারোহের সঙ্গে এখানে গৃহপ্রবেশ করেন।

whatsapp logo