সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাড়াবাড়ি রুখতে তৎপর নবান্ন, জারি হল কড়া নির্দেশিকা
এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) এর কাণ্ডে চরম প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে রাজ্য জুড়ে। আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংস ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন সঞ্জয় রায়, যিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই ঘটনায় সঞ্জয়ের সঙ্গে আরো কেউ যুক্ত ছিল কিনা তা এখনো তদন্ত সাপেক্ষ। এই সিভিক ভলান্টিয়ার এখন দখল করেছে সংবাদ শিরোনাম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু করা হয়েছিল এই নতুন পদ। সিভিক ভলান্টিয়াররা আসলে পুলিশের সহযোগী। পুলিশদের মতো ক্ষমতা তাদের নেই। তারা কোনো ঘটনার তদন্ত বা তল্লাশিতে যেতে পারেন না। থানায় জিডি বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কেস ফাইলও দেখতে পারেন না। তবে দীর্ঘদিন ধরে কিছু কিছু জায়গায় এই সিভিক পুলিশদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ছে। বিভিন্ন জেলায় সিভিকদের দিয়ে করানো হচ্ছে আইন শৃঙ্খলার ডিউটি। ধরা না পড়তে তাদের পরানো হচ্ছে জলপাই রঙের উর্দি। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে লাঠি, ওয়াকিটকি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিভিকদের পাঠানো হচ্ছে তল্লাশিতে। এমনকি সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নানান অভিযোগ নিয়ে ওয়াকিবহাল নবান্নও। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের উদ্দেশে এবার বড় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। বিভিন্ন জায়গায় সিভিকদের নিয়মের বাইরে হাঁটা, তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে পর এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অনৈতিক কাজ থেকে সিভিকদের বিরত রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে সরকারি নির্দেশিকা। সিভিকদের কী কী অধিকার থাকবে তা এই নির্দেশিকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ করা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।