ভোটে কারচুপি না হলে শাসক দলই এবার জিতবে, স্পষ্ট সুর নচিকেতার কণ্ঠে
‘তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা’ মন আসলে সবই জানে শুধু মুখটা বন্ধ থাকে পারিপার্শ্বিক চাপে। এই সম্ভাব্য ব্যাপার সাধারণ মানুষের জন্য বহাল থাকলেও নচিকেতার জন্য একেবারেই নয়, তিনি তাঁর গানের কলির মতই স্পষ্ট বক্তা। মনে মনে একজন স্বাধীন বামপন্থী, অথচ প্রত্যক্ষ ভাবে কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। কিন্তু এবারের ভোট নিয়ে তাঁর কি চিন্তা ভাবনা?
মঞ্চে এখন শোনা যাচ্ছে ‘পথে এ বার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা’-র মতো গান। গানের শব্দ শুনলে বাম গন্ধ আসবে। কিন্তু তিনি তো স্বাধীন বামপন্থী। তাহলে কি ৩৪ বছরের বামপন্থার বিরোধী তিনি? আসলে নচিকেতা কি চান তা স্পষ্ট নয় অনেকের কাছে, কিন্তু এবারে রাজ্য রাজনীতি নিয়ে স্পষ্ট কথা সামনে রাখলেন।
এদিন শিল্পী নচিকেতা বলেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে কখনও কিছু চাননি। কারণ, ২৯ বছর ধরে তাঁর গান শ্রোতাদের কাছে প্রাসঙ্গিক। আজও শ্রোতারা তাঁকে পাগলের মতো ভালবাসেন। তাতেই তিনি পূর্ণ। যেই মানুষ গান দিয়ে জীবনে পূর্ণতা খুঁজে পেয়েছেন, সেই মানুষ আজ দিদির সমর্থক।
বিনা দ্বিধায় নচিকেতা জানান বুথে, ইভিএম মেশিনে কারচুপি না হলে শাসকদলই জিতবে। অর্থাৎ দিদির হয়ে বাক্য ব্যয় করলেন সময়োপযোগী সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা। এছাড়াও, এদিন নচিকেতা, প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে কটাক্ষ করে এও বলেন, “শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীকে ঠেকাতে বাংলায় ২২ বার ছুটে এলেন নরেন্দ্র মোদী। অমিত শাহ তো নিত্য যাত্রী। কেবল রেশন কার্ডটাই নেই তাঁদের।’’