‘সব ঝগড়াই লোক দেখানো’, সেজেগুজে নন্দিনী দিদির সঙ্গে গল্প মিষ্টি-কালীর, ট্রোলের ঝড় নেটপাড়ায়
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিভিন্ন সময় বহু মানুষ উঠে এসেছে চর্চায়। সাম্প্রতিক সময়ের কথা বললে এই ভাইরাল তালিকায় যার নাম না উল্লেখ করলেই নয়, তিনি হলেন নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দিনী দিদি নাম হলেও আসলে তাঁর নাম হল মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আপামর নেট জনতার কাছে তিনি পরিচিত নন্দিনী দিদি নামেই। জিন্স টপ পরা, গলায় ব্লুটুথ হেডফোন ঝোলানো ঝকঝকে মডার্ন নন্দিনী দিদি লাইমলাইট কেড়ে নিতে বেশি দেরি করেননি।
ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুড ভ্লগারদের বাড়বাড়ন্ত কারোরই নজর এড়ায়নি। তাদের দৌলতেই পরপর চর্চায় উঠে এসেছেন আরো কয়েকটি নাম। নন্দিনী দিদির সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়েছেন মুনমুন দিদি, কালী দিদি, মিষ্টি দিদিরা। নন্দিনীর মতোই এঁরাও বিভিন্ন জায়গায় একা হাতে চালাচ্ছেন খাবারের দোকান। প্রতিদিন খেটেখুটে খাবার তুলে দিচ্ছেন মানুষের মুখে। কিন্তু যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়, তারা খুব ভালো ভাবেই জানেন, এঁদের মধ্যে কিন্তু বিশেষ বনিবনা নেই। মাঝে মধ্যেই নন্দিনী দিদিকে তুলোধনা করতে শোনা যায় কালী দিদিকে। কিংবা কোনো বেফাঁস মন্তব্য করে লাইমলাইট কেড়ে নেন মুনমুন দিদি। কোনো না কোনো বিতর্ক লেগেই থাকে তাঁদের নিয়ে।
তবে এবারে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে নেট নাগরিকদের। বিতর্ক ভুলে একই সঙ্গে দেখা মিলল নন্দিনী দিদি, মুনমুন দিদি, কালী দিদি, মিষ্টি দিদিদের। পেঁয়াজি রঙের ডিজাইনার শাড়ি, গাঢ় সবুজ রঙের স্লিভলেস ব্লাউজে দেখা গেল ঝকঝকে নন্দিনী দিদিকে। সেজেগুজে এসেছিলেন মুনমুন দিদি, কালী দিদি, মিষ্টি দিদি রাও। সকলের মুখেই এদিন দেখা গেল হাসি। নন্দিনী দিদি নিজেই ডেকে ডেকে কথা বললেন বাকিদের সঙ্গে। চলল সোশ্যাল মিডিয়া বিতর্ক নিয়ে হাসাহাসিও।
ভিডিও দেখে অবাক নেট নাগরিকরা। কেউ কেউ আবার কটাক্ষও করলেন। একজন লিখেছেন, ‘আপনাদের ফুড ব্লগার বলতেও লজ্জা করে’। আরেকজন লিখেছেন, ‘নক্ষত্র তারা চাঁদ সূর্য সব তো এক জায়গায়’। আবার একজন মন্তব্য করেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে…. নিজ কাজের ক্ষেত্রে স্বীকৃতি ও সম্মান কার না ভালো লাগে…. আর ফুড ব্লগার দের সৌজন্যে এইভাবে সবায়ের একি ছাদের তলায় এসে একটু আনন্দ পাওয়া….. একটু সুখ দুঃখ শেয়ার করে নেওয়া এটাও একটা বিরাট প্রাপ্তি…. ভালো থেকো তোমরা সবাই,… আরও এগিয়ে যাও…. অনেক শুভকামনা…..’।