Smart Didi: হাজারো ট্রোল সহ্য করেও এই বিশেষ কারণে ভেঙে পড়লেন নন্দিনী
বর্তমানে নন্দিনী গাঙ্গুলী (Nandini Ganguly)-র নাম ডালহৌসির পাইস হোটেল চত্বর ছাড়িয়ে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সম্প্রতি ‘তিন সত্যি’ নামে একটি বাংলা ফিল্মের মাধ্যমে টলিউডে ডেবিউ করেছেন নন্দিনী। তবে রমরমিয়ে চলছে তাঁর পাইস হোটেল। কখনও হচ্ছে নন্দিনীর সমালোচনা, কখনও বা তাঁর প্রশংসা। এর মধ্যেই নন্দিনী ঘোষণা করেছেন, কলকাতার আরও দুই প্রান্তে এই ধরনের দুটি পাইস হোটেল খুলতে চলেছেন তিনি। তবে সকলকে চমকে দিল সাম্প্রতিক কালে ‘জোশ টকস’-এর মঞ্চে নন্দিনীর অকপট স্বীকারোক্তি।
এই মঞ্চে নন্দিনী তুলে ধরলেন তাঁর ক্ষোভ। নোটবন্দির সময় নন্দিনীর বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। দুই দিদি ইঞ্জিনিয়ার হলেও নন্দিনী পড়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। তবে ফ্যাশন ডিজাইনার না হয়ে শেষ অবধি শেফের চাকরি নিয়ে গুজরাটে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নন্দিনীর বাবা দেড়শো টাকা রোজে একটি রুটির দোকানে কাজ করতেন পরবর্তীকালে তিনি একটি পাইস হোটেল খোলেন ডালহৌসি চত্বরে জায়গা ভাড়া নিয়ে। করোনাকালে নন্দিনীকে মায়ের অসুস্থতার জন্য ফিরে আসতে হয়েছিল গুজরাট থেকে। এরপরেই বাবার পাইস হোটেলে তিনিও কাজ করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়ে। ইউটিউবারদের দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দিনীর পরিচয় হয় ‘স্মার্ট দিদি’ নামে।
কিন্তু পাশাপাশি নন্দিনীকে নিয়ে শুরু হয় রোস্ট ভিডিও। নন্দিনীর সামনে এই ধরনের কিছু ইউটিউবার প্রশংসা করলেও আড়ালে তাঁকে ‘হিজড়া’ বলে সম্বোধন করেন। তালিকায় রয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। জোশ টকসের মঞ্চ থেকে প্রতিবাদে গর্জে উঠে নন্দিনী বলেন, হিজড়ারা কি মানুষ নন!
তাঁদের কি বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই! নন্দিনী কষ্ট পান না তাঁকে ‘হিজড়া’ সম্বোধন করলে। কিন্তু তাঁর খারাপ লাগে এই ধরনের মানসিকতা দেখে। তবে নেতিবাচক প্রভাবকে এড়িয়ে বাঁচতে শিখে গিয়েছেন নন্দিনী।