চাকুরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী সকলকেই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নিতে হয়। তবে এই অবসর জীবনের কথা ভাবা হয় কিছু কিছু সরকারি ও কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রে। তাই চালু হয় পেনশন ব্যবস্থা। তবে এখন এই পেনশন ব্যবস্থা মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। যদিও এখনও কিছু সরকারি চাকরিতে পেনশন পাওয়া যায়। বাকিগুলোতে সরকার ‘কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিম’ চালু করেছে। কিন্তু যারা চাকরি করেন না, তাদের অবসর জীবন কিভাবে চলবে? এই বিষয়টি হয়তো অনেকেই ভেবে থাকেন যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা ককরে থাকেন। তবে তাদের ক্ষেত্রেও রয়েছে এমন একটি ব্যবস্থা, যা থেকে অবসর জীবনে আপনি মাসিক কিস্তিতে পেতে পারবেন।
এর জন্য চালু রয়েছে NPS বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৯ সাল থেকে এই স্কিমটি সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য চালু করা হয়েছিল। এই পেনশন স্কিমের অধীনে, বিনিয়োগকারীরা ৬০ বছর বয়সের পর মোট জমার পরিমাণের ৬০% তুলতে পারেন এবং অবশিষ্ট ৪০% অর্থ পেনশন স্কিমে যায়। এছাড়াও বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপরও কর ছাড় দেওয়া হয় এই স্কিমে। এখন একনজরে দেখে নিন যে কিভাবে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
■ ন্যূনতম বিনিয়োগ: এই স্কিমে আপনি ইচ্ছেমতো বিনিয়োগ করতে পারবেন না। NPS-এ বিনিয়োগের সীমা হল ৬,০০০ টাকা। যদি ন্যূনতম সীমা বিনিয়োগ না করা হয়, তাহলে অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করা হয় এবং তারপর অ্যাকাউন্টটি ডিফ্রিজ করার জন্য ১০০ টাকা জরিমানাও দিতে হবে।
■ আবেদন প্রক্রিয়া: ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে, যেকোনো NPS পেনশন ফান্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। এতে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ঠিকানা প্রমাণ ইত্যাদির মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কিত নথি দিতে হবে।
■ পেনশন পাওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা: NPS-এর পেনশনের যোগ্যতা বয়স সীমা ৬০ বছর রাখা হয়েছে। এখানে এই বিওয়টিও খেয়াল রাখা দরকার যে NPS-এ কমপক্ষে ১০ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সে এখানে রেজিস্ট্রেশন করবেন তাকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত NPS-এ টাকা জমা দিতে হবে। তারপরই তিনি পেনশন পাবেন।
■ যেভাবে মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন: যদি কোনো গ্রাহকের জন্ম তারিখ হয় ১ ডিসেম্বর, ১৯৭৬, তাহলে NPS ক্যালকুলেটর অনুযায়ী ৪৪ বছর পর আপনি পেনশন পাবেন। এর জন্য ওই গ্রাহককে প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ৯,০০০ টাকা জমা দিতে হবে।
