কিছুদিন আগে ঋতাভরী (Ritabhari chakraborty)-র বিয়ে নিয়ে নেটজনতাদের অত্যন্ত চিন্তা দেখা গিয়েছিল। ঋতাভরীর বিয়ে নিয়ে দুটি গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। প্রথম গুঞ্জন অনুযায়ী, ঋতাভরীর নাকি তাঁর মনোবিদ বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত: এই গুঞ্জন ছড়ানোর কারণ হল ঋতাভরীর একটি ইন্সটাগ্রাম রিল। সেই রিলে লাল রঙের বেনারসী পরে, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বধূবেশে ঋতাভরীকে দেখা গিয়েছিল। তার সঙ্গে ঋতাভরী পরেছিলেন মাথায় টিকলি, গলায় ও কানে ভারী অলঙ্কার। এরপরেই সকলের মনে হল, ঋতাভরীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় গুঞ্জন অনুযায়ী, ঋতাভরী বিয়ে করতে চলেছেন। হয়তো নেটিজেনরা ইন্সটাগ্রাম রিলটি দেখে বিয়ের ট্রায়াল ভেবেছিলেন। এই ধরনের গুজবে ক্ষুব্ধ ঋতাভরী জানিয়েছেন, বিয়ের কোনো প্রশ্নই উঠছে না। কয়েক মাস আগে ঋতাভরীর দুটি সার্জারি হয়েছে। এইসময় তিনি শরীরের খেয়াল রাখতে ব্যস্ত। তাই এখন তিনি বিয়ের কথা ভাবছেন না। এবার তিনি একটি একটি সিডাক্টিভ ইন্সটাগ্রাম রিল শেয়ার করেছেন।
ঋতাভরীর শেয়ার করা ইন্সটাগ্রাম রিলে তাঁকে দেখা যাচ্ছে, সিডাক্টিভ মোডে পোজ দিতে। তাঁর পরনে রয়েছে কালো রঙের সিকুইনড বিকিনি টপ ও ফ্রন্ট ওপেন কালো-সাদা স্ট্রাইপড শার্ট। চুলের সামনের ফ্রিঞ্জ ও ঠোঁটের ফুশিয়া গ্লসে ঋতাভরীকে অপূর্ব সুন্দরী লাগছে। রিলের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে ঋতাভরী ব্যবহার করেছেন বিখ্যাত ফিল্ম ‘মার্ডার’-এর আইকনিক গান ‘কহো না কহো’-তে ব্যবহৃত কয়েকটি আরবিক কথা। নেটিজেনদের ভরসা নেই। তাঁরা হয়তো এবার ঋতাভরীর এই রিলটিকে বলবেন হানিমুনে যাওয়ার ট্রায়াল।
তবে ঋতাভরী এই মুহূর্তে একসঙ্গে অনেকগুলি দিক নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তিনি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এর পাশাপাশি নিজের উদ্যোগে একটি এনজিও-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতির সময় মানুষকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত করতে শুরু করেছেন বিনামুল্যে কাউন্সেলিং। কয়েক মাস আগে মুক্তি পেয়েছে তাঁর প্রথম হিন্দি গানের অ্যালবাম ‘সাওন’।
শৈশবে মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ঋতাভরী। স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ওগো বধূ সুন্দরী’-র মাধ্যমে নজর কেড়েছিলেন তিনি। অভিনয়ের শুরুর দিন থেকেই নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেন ঋতাভরী। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ তাঁর জীবনের একটি মাইলস্টোন। এই ফিল্মে মহিলা পুরোহিতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতাভরী। এই ফিল্মে একটি বার্তা মেলে ধরা হয়েছে, একটি মেয়ের রজঃস্বলা হওয়া কোনো ট্যাবু নয়। অভিনেত্রী হিসাবে এক্সপেরিমেন্ট করেন বলেই ঋতাভরী মহিলা পুরোহিতের চরিত্রে তাঁর পরিণত মানসিকতা তুলে ধরতে পেরেছিলেন।
View this post on Instagram