‘দিল বেচারা’ তে মান্নি বলেছিল, “Janam Kab Lena hai aur Marna Kab hai.. hum decide nahi kar sakte.. par kaise jeena hai.. woh hum decide kar sakte hai” তাহলে এমন কি হল যে চিরতরে চিরঘুমে চলে যেতে হল সেই মান্নিকে ওরফে সুশান্ত সিং রাজপুতকে? কেন নিজের মৃত্যু নিজেই ঠিক করে ফেললেন?
২০২০ র ১৪ ই জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রা তে যে কাণ্ড ঘটে যায় তার মাশুল দিতে হয় সুশান্তের পরিবারকে। মা অনেক আগেই চলে গিয়েছিলেন, তাই দিদি আর বাবার জায়গা শূন্য হয়ে যায়। ঠিক কী কারণে একটা তরতাজা প্রাণ চলে যেতে পারে আজও খটকা থেকে গেল। সি বি আই বলছে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত।
জীবনে যে সাফল্য আসেনি এমন তো নয়। ইঞ্জয়ারিং ছেড়ে রুপোলি পর্দায় আসেন। ২০০৮ সালে স্টার প্লাস চ্যানেলে প্রচারিত ধারাবাহিক ‘কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল’-এ প্রীত জুনেজা চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে অভিষেক করেছিলেন। এরপর ‘পবিত্র রিস্তা’। পর্দার মানব হয়ে উঠলেন সুশান্ত। তখন থেকেই শুরু প্রেম। সহ অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখন্ডের সঙ্গে প্রথম প্রেম শুরু করেন। প্রায় ৬ বছর সেই প্রেম জীবনে ছিল। যদিও সেই প্রেমে বিচ্ছেদ আসে।
অবশ্য, এই ধারাবাহিকে আসার আগেও ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে যুক্ত ছিলেন সুশান্ত। সেই ২০০৫ সালে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হওয়ার পর প্রথম ধারাবাহিকে সুযোগ আসে। এই ধারাবাহিক করতে করতে বড় পর্দায় সুযোগ। ‘কাই পো চে’, ‘শুধ দেশী রোমান্স রঘু রাম’, ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী, ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’, ‘কেদারনাথ’, ‘ছিছোড়ে’র মতো সিনেমাগুলোতে অভিনয় করে যাওয়া একটা মানুষ তো অসফল ছিলেন না!
প্যাশন ছিল মহাকাশ গবেষণা, চাঁদ–তারা–সূর্য–গ্রহ–নক্ষত্র এরাই বেশি টানত তাঁকে। এরজন্য কিনে ফেলেছিলেন মহার্ঘ্য এক টেলিস্কোপ। এতে করেই চাঁদ তারা দেখতেন। যার বইয়ের তাকে ঠাসা থাকত নন ফিকশন, সার্ত্র থেকে স্টিং থিওরি, সেই মানুষ তারাদের দেশে এভাবে মিলিয়ে গেল! চাঁদে জমি কেনা মানুষটা কি আজ চাদেই রয়ে গেলেন???