Marriage Rules: বিয়ে করার জন্য মানতে হবে এই নয়া নিয়ম, ১লা নভেম্বর থেকে জারি গোটা রাজ্যে
![](https://m.hoophaap.com/wp-content/uploads/2023/11/Marriage-rule-780x470.jpg)
বিয়ের (Marriage) ক্ষেত্রে এবার থেকে নতুন নিয়ম চালু হল। পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে করার জন্য পাত্র পাত্রীর এবার থেকে এই নয়া নিয়ম মানা জরুরি। বিয়ে নিবন্ধন করার জন্য এবার থেকে পাত্র পাত্রী ছাড়াও দরকার তিন জন সাক্ষীর আঙুলের ছাপ। এর জন্য বায়োমেট্রিক রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নভেম্বর মাস থেকেই এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। ১ লা নভেম্বর থেকে বিবাহ নিবন্ধনের এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে এখন নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিয়ের জন্য আবেদন করার সময়ই পাত্র পাত্রীকে নিজেদের বায়োমেট্রিক এর বিবরণ জমা করতে হবে। আর বিবাহ নিবন্ধনের সময় পাত্র পাত্রীর বায়োমেট্রিক তো লাগবেই, পাশাপাশি তিন জন সাক্ষীরও বায়োমেট্রিক রেকর্ড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে বিবাহের নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে সরকারের তরফে। আর তারপরেই বিয়ের আবেদন এবং নিবন্ধনের জন্য বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক করার নিয়ম চালু হয়েছে।
গত ১ লা নভেম্বর থেকে এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৫৭৬৮ টি বিয়ের আবেদন জমা পড়েছে এবং ২৭০০ টি বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে। সব কিছুই হয়েছে নতুন নিয়ম মেনে বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে। এখন থেকে নিবন্ধনকারী অর্থাৎ রেজিস্ট্রাররা সঙ্গে ল্যাপটপ এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার রাখবেন বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের সময়ে। উল্লেখ্য বিশেষজ্ঞ মহলের তরফে জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রাররা এখন থেকে নিজস্ব বায়োমেট্রিক পরিচয় দিয়েই অনলাইন ম্যারেজ পোর্টাল অ্যাক্সেস করতে পারবেন। লগ ইন করার পরে আধ ঘন্টার মধ্যেই বায়োমেট্রিক আপলোড করতে হবে। পাত্র পাত্রীর বায়োমেট্রিক পরিচয় অতিরিক্ত নথি হিসেবে গণ্য করা হবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী।
কিন্তু এই নতুন নিয়ম চালু করার কারণ কী? বিশেষজ্ঞ মহলের তরফে জানানো হয়েছে, কোনো রকম নকল পরিচয়ের ঘটনা দূরে রাখতে এই ধরণের নিয়ম চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্য সরকারের এই নতুন নিয়ম আপাতত হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৪ আর বিশেষ বিবাহ আইন ১৯৫৪ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।