Arpita Mukherjee: অর্পিতার ফ্ল্যাটে কাড়িকাড়ি টাকার উৎস কি! নতুন যোগসূত্রের সন্ধানে ইডি
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। তার জেরে জেলের অন্ধকারে সবান্ধব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একদিকে ইডির তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম। অন্যদিকে হাইকোর্টে একের পর এক বিস্ফোরক রায় দিচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। কিন্তু এই সব ঘটনাক্রমের মাঝে প্রশ্ন প্রশ্ন ওঠে আসছে একটাই- পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস কি? এরমধ্যে উঠে এসেছে একাধিক সম্ভাবনাময় উৎস।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার একাংশের সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে বেসরকারি শিক্ষন কলেজ। যদিও এই বিষয়ে এখনো অব্দি মুখ খোলেননি ইডি (ED) কর্তারা। তবে এই টাকার রহস্য সমাধানে চলছে বেলাগাম তদন্ত। ইডির দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই ওই টাকা রেখেছিলেন অর্পিতার ফ্ল্যাটে। এই কথাটি অর্পিতা জেরায় স্বীকার করেছেন বলেই দাবি ইডি কর্তাদের। আর এর উৎসের জট খুলতে গিয়ে খোঁজ মিলেছে বেসরকারি শিক্ষন কলেজের সঙ্গে এই টাকার সম্পর্ক। এখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক মহিলা অফিসারের নামও উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে ইডি। তাদের অনুমান, ২০১৮ থেকে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে অব্দি টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ওই মহিলা অফিসাদের যোগসূত্র রয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনো নথি প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এখানেই শেষ নয়, ইডির তদন্তে আরো কিছু নতুন নথির সন্ধান মিলেছে বলে খবর। কারণ ইতিমধ্যে এই মিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকেও। এর এই জেরায় শিক্ষা দফতরের অন্দরে দুর্নীতির এই চক্রের সন্ধান মিলে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষন কলেজের অধ্যক্ষ ও কর্তাদের জেরায় কিছু তথ্যের হদিশ মিলেছে বলে জানিয়েছে ইডি। তবে এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ ইডি।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বছরের শুরুর সময় থেকেই তৎপর হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গত জুলাই মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ফ্ল্যাটে আচমকা হানা দেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকা। গ্রেপ্তার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে। গ্রেপ্তার হন রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী সহ অনেকেই। তবে বছর গড়িয়ে গেলেও টাকার উৎসের রহস্য সমাধান করা যায়নি।