দার্জিলিং গেলেই গুনতে হবে এত টাকা ট্যাক্স! নতুন নিয়মে মাথায় হাত পর্যটকদের
বাঙালিদের কাছে ভ্রমণের প্রাথমিক পছন্দই হল ‘দী-পু-দা’ অর্থাৎ দীঘা, পুরী এবং দার্জিলিং (Darjeeling)। সস্তায় পুষ্টিকর ভ্রমণ বলতে কিন্তু এখনো এই তিনটি জায়গাই বেশিরভাগ মানুষের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবে। বিশেষ করে প্রিয় শৈলশহর বলতে দেশ বিদেশের জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন ছেড়ে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) নামই বলবে অধিকাংশ বাঙালি। কারণ বাড়ির তুলনামূলক কাছের দার্জিলিং অনেকের কাছেই কার্যত হাতের তালুর মতো চেনা। কয়েক দিনের ছুটিতে মন তরতাজা করতে হঠাৎ করেই দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে পাড়ি জমায়নি, এমন মানুষের সংখ্যা বেশ কম।
তবে এবার আর মন চাইলেও এক ছুটে দার্জিলিং যাওয়া যাবে না। করতে হবে ভাবনা চিন্তা। কারণ এবার থেকে দার্জিলিং যেতে হলে ট্যাক্স গুনতে হবে পর্যটকদের। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। গত বছরেই এই করের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পারিপার্শ্বিক কিছু চাপে তখনই তা চালু করা যায়নি। অবশেষে এ বছর চালু হতে চলেছে এই বন্দোবস্ত। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং পুরসভার তরফে এ বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য নেওয়া হবে এই ট্যাক্স।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হোটেল মালিক এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের এই করের ব্যাপারে জানিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কুপন। তবে ৩০ বছর পর পুনরায় এই কর চালু হওয়ায় খুশি নন হোটেল মালিকরা। ইকো টুরিজম বিভাগের চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বলেন, পর্যটকদের কাছে যে কারণে কর নেওয়া হবে তা এখনো সুস্পষ্ট নয়। ফলত পর্যটকরা দুর্নীতির শিকার হতে পারে। তিনি আরো পরামর্শ দেন, সমস্ত পর্যটন ব্যবসায়ী, স্টক হোল্ডার এবং হোম স্টে ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে বসে একটি অ্যাপ ডেভেলপ করলে সেখানে পর্যটকদের জন্য করের বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকবে।
দার্জিলিং পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত জঞ্জাল অপসারণ এবং সাফাইয়ের জন্য এই কর ধার্য করা হয়েছে। ৩০ বছর আগে এই কর চালু ছিল দার্জিলিংয়ে। তবে পরে বন্ধ হয়ে যায় তা। জানা যাচ্ছে, আগে মাথা পিছু ২০ টাকা করে কর নেওয়া হত। নতুন করে কর বা ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেও একই টাকা রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।