মাত্র এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সন্তানের বাবা আপাতত নিখোঁজ এমন গতিতে কাহিনী এগিয়ে চলেছে। নিশ্চিত মা, বাবা কে? এই প্রশ্নে তোলপাড় গোটা টলিউড ও দর্শকমহল। নিখিল জৈন নামক এক হ্যান্ডসাম ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী। তাও আবার দেশের বাইরে তুরস্ক গিয়ে। কলকাতা ফিরে করেন জমজমাট রিসেপশন। ২০১৯ বিয়ে, ২০ তে বিচ্ছেদ। এই এক বছরের মধ্যে দুজনের প্রেম ছিল মাখোমাখো। থেকে থেকেই টিক টক করতেন দুজন। বিশেষ করে নিখিলের ইনস্টাগ্রামে শুধুই নুসরত আর নুসরত। অনেক জল ঘোলা করে নুসরতকে বিয়ে করে ছিলেন নিখিল। কিন্তু, ধোপে টিকল না বিয়ে।
গত ডিসেম্বর মাসে রাজস্থান ট্রিপে গিয়েছিলেন নুসরত জাহান। ফিরে এসে বলেছিলেন ওটা তার সোলো ট্রিপ ছিল। যদিও যশের উপস্থিতি স্পষ্ট ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুজনেই একই জায়গার ছবি দিয়েও বলতেন আমরা একসঙ্গে ছিলাম না। এখানেই শেষ নয়, পুজোর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘SOS কলকাতা’-এ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন যশ-নুসরত ও মিমি। তাঁর মধ্যে যশ ও নুসরতের বন্ধুত্ব অনেকটাই গভীর হয়েছিল বলে শোনা যায়।
এবারে নায়িকার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠমহল থেকে শোনা যাচ্ছে যে তিনি মা হতে চলেছেন। বাবা কে? শোনা যাচ্ছে ওই যশ দাশগুপ্ত যিনি কিছুদিন আগে বিজেপি র হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি। ওই ফলাফল শূন্য হলেও এইখানেই বাজিমাৎ করছেন যশ, এমনটা দর্শক ও অনুরাগীদের ধারণা। যশ ও নুসরতের অনুরাগীরা জানিয়েই দিয়েছেন নুসরতের কোলে যশের সন্তান। যদিও এই দুজন এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যশ এবং নুসরত দুজনেই চুপ। অথচ, নুসরতের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বলে দিচ্ছে যে তার জীবনে কিছু একটা আসতে চলেছে। সেইসঙ্গে সম্প্রতি নুসরত একটি গর্ভনিরোধক পিল এর বিজ্ঞাপনেও কাজ করছেন। তাহলে কি সবটাই ভুয়ো খবর? চলুন দেখে নিই নুসরতের প্রথম স্বামী নিখিলের বক্তব্য।
একাধিক সংবাদ মধ্যম নিখিল জৈনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নিখিল শোনা মাত্রই অস্বীকার করেন নুসরত ও তার সন্তানকে। নিখিল প্রতিটা সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেন নুসরতের সন্তান ওর নয়। চলুন দেখি নিখিল কি কি বলেছেন নুসরত প্রসঙ্গে, “আমি জানিও না নুসরত মা হতে চলেছে। এই খবর আমার কাছে আসেনি। আসার পথও বন্ধ। আর আমরা কেউ যোগাযোগ রাখি না। নুসরত আর আমি অনেকদিন থেকেই আলাদা থাকি। নয়-নয় করে ছ’মাস হয়ে গেল।” , “এখন যে নতুন সঙ্গীর সঙ্গে ও আছে, তার সঙ্গেই ভালো থাক। ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করুন। গত ছ’মাস ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার পরিবারের মূল্যবোধ নিয়ে আমি ভাল আছি।”