গর্ভবতী অবস্থায় গুরুর আদেশ মেনে চলছেন নুসরত জাহান, কী বলছেন গুরুদেব!
নুসরত জাহানের জীবনে ঝড় উঠেছে গত বছর থেকেই। সাধারণ মানুষ টের পাননি কখন নুসরত নিখিলের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে একেবারে চলে আসেন। অবশ্য টলি পাড়ায় গুঞ্জন ওঠে যে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন নুসরত জাহান। এবারে একেবারে বিবৃতি দিয়ে নুসরত জানালেন যে নিখিল জৈন তার স্বামী নন, বিয়ে হয়নি তাদের। এবং তুরস্কের বিয়ে আইনত বৈধ নয়। ওটি শুধুমাত্র সহবাস ছিল। এদিকে নিখিল জানায় বহুবার রেজিস্ট্রি ম্যারেজের জন্য বললেও নুসরত রাজি হননি। এবং এরপরেই দেওয়ানি মামলা করেন নিখিল জৈন নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে নুসরত প্রেগন্যান্ট। তার সন্তানের পিতা কে, স্পষ্ট করে নুসরত কিছুই বলেননি, তবে পাবলিকের অনুমান ওটি যশের সন্তান। নুসরতের এমন দ্বিচারিতা শুরু করেছেন যার জন্য তার অনুরাগীরা পর্যন্ত তার উপর ক্ষিপ্ত। কপালে সিঁদুর, হাতে শাখা পলা পরে সাংসদ পর্যন্ত যান নুসরত। তার অফিসিয়াল ডকুমেন্ট বলছে তিনি বিবাহিতা। অথচ তার বিবৃতি বলছে ওই বিয়ে শুধুই সহবাস, আদপে ওটি বিয়েই নয়।
এবারে নুসরত জাহান তার ক্ষতবিক্ষত জীবন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য এক গুরুর স্মরণাপন্ন হলেন। কী বললেন সেই গুরু? তিনি বলছেন, ‘জীবন কখনওই সহজ নয়। জীবনকে সহজ করে নিতে হয়। কখনও কিছু জিনিসের সঠিক পরিবর্তন ঘটিয়ে, আবার কখনও কয়েকটি জিনিস এড়িয়ে গিয়ে তা করা সম্ভব।’ শনিবার ইনস্টাগ্রামে ১০ সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন নুসরত। বোঝাই যাচ্ছে তিনি তার নিজের কবর নিজেই খুরেছেন। তার অনুরাগীরা তার বিরুদ্ধে, তার অগণিত ভক্তরা আজ তার কাজে বিরক্ত। ক্রমাগত সমালোচনার সঙ্গে সংঘাত করে চলতে হচ্ছে তাকে। তিনি সাংসদ এবং একজন পাবলিক ফিগার, তাই তার বিবৃতি সাধারণ মানুষের মধ্যে ভালই প্রভাব ফেলেছে, যার জন্য নিজেকে বাঁচাতে এবং হালকা অনুভব করতে গুরুর স্মরণাপন্ন হলেন তিনি।
এখন প্রশ্ন হল কে এই গুরু যার কথা নুসরতের মনে ধরেছে? ইনি হলেন গৌর গোপাল দাস। ইনি একজন ভারতীয় লাইফস্টাইল কোচ, মোটিভেশনাল স্পিকার এবং প্রাক্তন এইচপি ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কৃষ্ণ সচেতনতার জন্য আন্তর্জাতিক সোসাইটির সদস্য হিসেবে কাজ করেন। অগণিত মানুষ তার কথা থেকে প্রেরণা পেয়েছেন এবং কঠিন সময় অতিক্রান্ত করতে পেরেছেন। এবার দেখার ব্যাপার, নুসরত নিজে কতটা ফল পেলেন এবং উপকার হল তার।