না কোনো রকম প্ল্যাস্টিক সুন্দরী তিনি নন, যৌবন কালে এক বার দেখলেই চোখ ফেরানো যেত না। কোনো রকম সার্জারি ছাড়াই বেশ সুন্দরী ছিলেন অভিনেত্রী জয়াপ্রদা। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে একবার এক পরিচালক তাকে মাত্র ১০ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন ৩ মিনিটের নাচের জন্য। সেটি ছিল তেলুগু ফিল্ম ‘ভূমি কসম’। না আমাদের আজকের বিষয় তার কেরিয়ার নিয়ে নয়, শ্রীদেবীর সঙ্গে তার অদ্ভুত সম্পর্কের রসায়ন নিয়েই এই প্রতিবেদন।
জয়াপ্রদা ও শ্রীদেবী একটা সময়ে চুটিয়ে অভিনয় করেন একই ছবিতে। দুজনেই ডাকসাইটে সুন্দরী। শুধু সুন্দরী যে তার নয়, অভিনয়ের দিক থেকেও দুজনেই খাসা। দুজনের অভিনয় পর্দায় চমকপ্রদ হলেও বাস্তব জীবনে দুজন কেউ কারোর মুখ দর্শন পর্যন্ত করতেন না। কথা বলা তো অনেক দূর।
তাদের দুজনের মধ্যে বিস্তর দূরত্ব ছিল। ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকলেই জানতেন যে জয়াপ্রদার সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক অনেকটা সাপে নেউলে। যেহেতু দুজন প্রতিভাবান ও শিক্ষিতা তাই চুলোচুলি না করলেও নীরবে থেকে একে অপরকে উপেক্ষা করতেন। অথচ এই দুজনকে দেখা যায় আখরে’, ‘অউলাদ’, ‘রাস্তা’-র মতো ছবিতে। এই ছবিগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে দুজনের মধ্যে বাস্তবে কোনো কথা দেখা সাক্ষাৎ কিছুই হয়না।
সম্প্রতি , ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’-এর মঞ্চে এসে পুরনো দিনের এ সব গোপন কথা শেয়ার করেছেন জয়াপ্রদা। এই অভিনেত্রীর কথায়, “আমরা অনস্ক্রিন পারফেক্ট বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু কখনও আমরা একে অপরের দিকে চোখ তুলে দেখতামও না। মকসত ছবির শুটিংয়ে জিতুদি এবং রাজেশজি আমাদের এক ঘণ্টা মেকআপ রুমে বন্ধ করে রেখেছিলেন। যাতে আমরা কথা বলি। কিন্তু আমরা একটা কথাও বলিনি।” নাহ শ্রীর সঙ্গে তার কোনো ব্যাক্তিগত সমস্যা ছিল না, যা ছিল সবটাই কেরিয়ার অর্থাৎ পেশাগত রেষারেষি। অবশ্য, এই মঞ্চে এসে আফসোস করলেন জয়াপ্রদা। এদিন সকলের সামনে বললেন, “শ্রীদেবী কোথাও থেকে আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন কি না, জানিনা। শুধু এটুকু বলব, আজ মনে হয় কেন আমরা কখনও কথা বলিনি…।”