চিরঞ্জিৎ (Chiranjeet Chakraborty) দিনের পর দিন ক্রমশ বিস্ফোরক হয়ে উঠছেন। কয়েক মাস আগে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)-কে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তকমা দেওয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। তবে এরপর তাঁর নিশানায় এসে যান মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। দেব (Dev) ও মিঠুন অভিনীত ‘প্রজাপতি’ বাংলা ফিল্মের অন্যতম ব্লকবাস্টার। নন্দনে এই ফিল্মের স্থান না হলেও তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুনের মতো অভিনেতাকে আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধী ছিলেন চিরঞ্জিৎ। নেপথ্যের কারণ অবশ্যই মিঠুন বিজেপির সমর্থক ও চিরঞ্জিৎ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তবে মিঠুনের সাথে বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে তাঁর মত, তাঁদের পুরানো বন্ধুত্ব আজও একই রকম রয়েছে।
View this post on Instagram
কিন্তু পরক্ষণেই আবারও চিরঞ্জিৎ-এর গলায় শোনা গেল বিরোধিতার সুর। তাঁর মতে, তিনি যুক্তি দিয়ে কথা বলেন। চিরঞ্জিৎ-এর দাবি, অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দেব নাকি তাঁকে বলেছেন, মিঠুন সকালে তৃণমূলকে গালাগালি দিয়ে রাতে দেবের বাড়িতে এসে মাংস-ভাত খেয়েছেন। এই প্রসঙ্গে চিরঞ্জিৎ-এর মত, যতক্ষণ মিঠুন বিজেপিতে রয়েছেন, ততক্ষণ তাঁকে বাংলার ফিল্মে না নেওয়াই উচিত। নিজের মতের সমর্থনে তাঁর যুক্তি, বিজেপি সমর্থক অনুপম খের (Anupam Kher) নিশ্চয়ই তাঁকে বা দেবকে বলিউডে কাজ দেবেন না! তাহলে বাংলার উচিত নয় মিঠুনকে পাবলিসিটি দেওয়া।
চিরঞ্জিৎ-এর মতে, মিঠুন মৃতপ্রায় তারকা। তাঁর মুখকে ব্যবহার করে ফিল্মের অন্তত দুই লক্ষ পোস্টার পড়েছে। মিডিয়া কভারেজের মাধ্যমে তাঁকে আরও বিখ্যাত করে তোলা হচ্ছে। মিঠুনকে জীবন দান করতে খরচ হচ্ছে দেবের। অথচ পাবলিসিটি ও সাহায্য পাচ্ছে বিজেপি।
অথচ কিছুদিন আগেই চিরঞ্জিৎ বলেছিলেন, রাজনৈতিক কারণে মতভেদ থাকলেও তার প্রভাব বন্ধুত্ব ও অভিনয়ে পড়বে না। এমনকি ‘প্রজাপতি’-তে মিঠুনের অভিনয়ের প্রশংসা করে তিনি সকলকে ফিল্মটি দেখার অনুরোধ করেছিলেন। আবারও বোধহয় রাজনীতির সাথে শিল্পকে গুলিয়ে ফেললেন চিরঞ্জিৎ!
View this post on Instagram