মাধুরী নামেই কেমন যেন মধু মধু মিষ্টতা আছে। যারা ডায়াবেটিক তাদের জন্য মধু বেশ উপকারী। কিন্তু, টিভির পর্দায় মাধুরীকে বেশি দেখলে রাতের ঘুম উড়বেই উড়বে। জীবনের ৫০ টা বসন্ত ২ বছর আগেই পার করেছেন, এখনও তার গ্ল্যামার, কারিশমা তাক লাগিয়ে দেয়। নাহ এখন তিনি সিনেমা করছেন না ঠিকই, তবে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে এবং রিয়্যালিটি শোতে তাকে দেখা যায়। এছাড়াও, সম্প্রতি নিজের নতুন কাজের খবর প্রকাশ করেছেন মাধুরী। নেটফ্লিক্সে আসছে তাঁর অভিনীত ‘ফাইন্ডিং অনামিকা’।
View this post on Instagram
বোঝাই যাচ্ছে এখনও ধক ধক গার্লের কেরিয়ার তুঙ্গে। ১৯৯৯ সালে ডক্টর শ্রীরাম নেনের সঙ্গে বিয়ে করেন মাধুরী। এরপর বিদেশে গিয়ে চুটিয়ে সংসার করেন। এখন তিনি দুই সন্তানের মা এবং প্রায় দীর্ঘ ২২ বছরের হ্যাপিলি ম্যারেড কাপল।
কিন্তু এমনও দিন ছিল যখন মাধুরীকে দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে একটা সুযোগের জন্য। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে নাচ প্র্যাকটিস করতেন তিনি। ইচ্ছা ছিল অভিনয়ে আসর। বহু দরজায় ঘুরেছেন কারণ তার বিশেষ কোনো ফিল্মি ব্যকগ্রাউন্ড ছিল না। একটা সময় মাধুরীর সঙ্গে আলাপ হয় রাকেশ নাথের। ইনি ছিলেন অনিল কপূরের ম্যানেজার। রাকেশের দায়িত্ব ছিল মাধুরী যাতে ভাল ছবিতে সুযোগ পান, সেদিকে খেয়াল রাখা। একসময় এই রকেশের অনুরোধে ১৯৮৯ সালে ‘ত্রিদেব’ ছবিতে সানির বিপরীতে নায়িকা হন মাধুরী। যদিও এই সিনেমায় মাধুরীকে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না প্রযোজকের। কিন্তু তারও আগে মুক্তি পায় ‘তেজাব’। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাধুরীকে। কিন্তু এই তার প্রথম আত্মপ্রকাশ কি বলিউডে হাত ধরেই? না একেবারেই না।
বাংলার জনপ্রিয় প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের হাত ধরে রুপোলি পর্দায় জায়গা পান মাধুরী প্রথম, যেই সিনেমার নাম ‘অবোধ’। কিন্তু এরও আগে মাধুরীকে প্রত্যাখ্যান করেছিল দূরদর্শন চ্যানেল। সেইসময় এই চ্যানেলের মূল অফিস ছিল দিল্লিতে। তারা নতুন মুখের সন্ধানে ছিল। সেই সময় মাধুরী নিজেকে উপস্থাপন করলে তারা রিজেক্ট করেন। কিন্তু কেন? কারণ, তারা মাধুরীর আবেদন দেখার পরই দূরদর্শন থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই টিভি শো-তে মাধুরীকে নেওয়া হবে না। তখন আশির দশক। হাত ছাড়া হয় টিভি সিরিয়াল ‘বম্বে মেরি হ্যায়’ । যদিও মাধুরী নিজেই এখন মুম্বাইতে রাজ করছেন দাপটের সঙ্গে।
View this post on Instagram