ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ায় ব্রিটিশ সেনার ‘আত্মা’! সন্ধ্যার পরে স্থানীয়রা এড়িয়ে চলেন এই ম্যানসন
অদ্ভুতুড়ে, অলৌকিক, শব্দগুলি শুনলে আপনার থেকেই যেন কৌতূহল কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কেউ মানুন চাই না মানুন, এই ধরণের গা শিরশিরে ব্যাপার উপভোগ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এ দেশ তথা সারা বিশ্বে ‘ভৌতিক’ স্থান (Haunted House) বলে তকমা পেয়েছে বহু জায়গা। এই সব জায়গাগুলিকে ঘিরে রয়েছে নানান জনশ্রুতি যা লোকমুখে প্রচার হয়ে হয়ে ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দেশেই রয়েছে এমন অনেক জায়গা। এই প্রতিবেদনে রইল এমনি একটি জায়গার খোঁজ এবং নেপথ্যে থাকা নানান জনশ্রুতি এবং রোমহর্ষক ঘটনা কাহিনি।
উত্তরাখণ্ডের মুসৌরি (Mussoorie) পর্যটকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি জায়গা। এখানেই রয়েছে ‘কুখ্যাত’ মুল্লিঙ্গর ম্যানসন। উত্তরাখণ্ডের অন্যতম ভৌতিক জায়গা নামে পরিচিত এই ম্যানসন। আদতেই একটি প্রাসাদোপম বাড়ি এটি। যদিও বর্তমানে তা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়িটি তৈরি করেছিলেন ফ্রেডেরিক ইয়ং। আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ফ্রেডেরিক মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভারতে এসেছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে। তিনিই মুসৌরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে মুল্লিঙ্গর ম্যানসন তৈরি করেন তিনি নিজের বাসস্থান হিসেবে।
পেল্লায় কেল্লার মতো ম্যানসনটি ছিল স্থানীয়দের বিশেষ কৌতূহলের বিষয়। বাড়ির বাইরে ছিল বিরাট ফাঁকা জায়গা। সেখানে ফ্রেডেরিক ঘোড়া চালাতেন বলে জানা যায়। বহু বছর মুসৌরিতে ছিলেন তিনি। আপন করে নিয়েছিলেন সেখানকার স্থানীয় সংষ্কৃতি। বিভিন্ন সমাজ সংস্কারমূলক কাজও তিনি করেছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু বর্তমানে তাঁর মুল্লিঙ্গর ম্যানসন স্থানীয়দের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জনশ্রুতি শোনা যায়, এখনো নাকি এই ম্যানসনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে ঘোড়ার খুরের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়দের অনেকের দাবি, এখনো নাকি ফ্রেডেরিকের আত্মাকে এই ম্যানসনের সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বাড়ির সামনে দিয়ে নাকি ঘোড়া চালাতেও দেখা যায় তাঁর আত্মাকে, এমনি দাবি করেন স্থানীয়দের একাংশ। স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে, শেষ জীবনে নাকি প্রিয় মুল্লিঙ্গর ম্যানসনেই ফিরে এসেছিলেন ফ্রেডেরিক। মৃত্যুর পরেও তাঁর আত্মা মায়া কাটাতে পারেনি এই বাড়ির। তাই এখনো তাঁর ‘অশরীরী’কে দেখা যায় এখানে ঘোরাফেরা করতে। যদিও এই জনশ্রুতিতে কতটা সত্যতা রয়েছে তা জানা যায়নি।