মালদ্বীপে সমুদ্রের ধারে বেশ রোম্যান্টিক কায়দায় ছেলের বিয়ে দিলেন বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী পদ্মিণী কোলাপুরে। প্রিয়াঙ্ক গত ৩ মার্চ বিয়ে করেছেন শাজা মোরানিকে। সমস্ত নিয়ম মেনে নীল সমুদ্রের ধারে বিয়ের আসর সাজান এই জুটি। বিয়ের দিন শ্রদ্ধা কাপুরকেও দেখা যায় স্বমহিমায়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁরা আইনি বিয়ে সারেন, এরপরেই ঘনিষ্ঠ মানুষদের নিয়ে মলদ্বীপে যান পদ্মিনী।
View this post on Instagram
পদ্মিনী কোলাপুরে মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় করেন ‘ইনসাফ কা তারাযু’ (১৯৮১ সালে মুক্তি পায়)। এর জন্য তিনি ‘ফিল্মফেয়ার এ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট সাপোর্টিং এ্যাকট্রেস’ লাভ করেন এবং ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘প্রেম রোগ’ এ ১৭ বছরে অভিনয় করেন ঋষি কাপুর এর বিপরীতে। এর জন্যেও তিনি ‘ফিল্মফেয়ার এ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট এ্যাকট্রেস’ জেতেন।
শুধুমাত্র অভিনয় নয়, গানের প্রতিও ছিল তাঁর প্রবল আগ্রহ। খুব কম বয়সে পদ্মিনী তার বোনের সাথে ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ (১৯৭৩), ‘কিতাব’ এবং ‘দুশমন দোস্ত’ মুভিতে তার বোনের সঙ্গে কোরাস সঙ্গীতে গেয়েছেন। এর পরে পরে তিনি নিজের অভিনীত চলচ্চিত্রেও গান করেন, যেমন ‘বিধাতা’ (১৯৮২) এর গান ছাথ ছ্যাহেলিয়া, ১৯৮৯ সালের চলচ্চিত্র ‘হাম ইন্তেযার কারেঙ্গেতে’ এবং ‘সড়ক ছাপ’ (১৯৮৭, কিশোর কুমার এর সঙ্গে)তে। তিনি সঙ্গীতকার বাপ্পী লাহিড়ী’র সঙ্গে করা ‘মিউজিক লাভার্স’ নামের একটা এ্যালবাম করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে পদ্মিনী এই বাপ্পী এবং তার দলের সঙ্গে লন্ডনে একটি কনসার্টে গান গেয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি ‘ইশক ইশক ইশক’ (১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত) এ অভিনয় করেছিলেন। এটার পর পদ্মিনী অন্যান্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ডাক পান যেমন ড্রিমগার্ল (১৯৭৭), যিন্দেগী (১৯৭৬) এবং ছাজান বিনা ছুহাগান (১৯৭৮)।
প্রসঙ্গত, পদ্মিনীর বড় বোনের নাম হচ্ছে শিভাঙ্গি কোলাপুরে যিনি অভিনেতা শক্তি কাপুরকে বিয়ে করেন, তাদের মেয়ে শ্রদ্ধা কাপুর হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন। তাই ভাইয়ের বিয়েতে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরও।
View this post on Instagram