পাকিস্তানি প্রেমিকার গর্ভে ভারতীয় যুবকের সন্তান, বাস্তব জীবনে ঘটলো এই ফিল্মি ঘটনা
এখনো অবধি প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতের বুকে ছুটে আসার ঘটনা বলতে ভারতবাসী বোঝে ‘গদর’ ও ‘গদর-২’ সিনেমা দুটির গল্পকে। কিন্তু এমনটাই বাস্তবে ঘটেছে কয়েকমাস আগে। প্রেমের টানে কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের মহিলা সীমা হায়দার। তাকে নিয়ে একসময় বেশ জল্পীনা হয়েছিল সারা দেশে। পুলিশ প্রথমে ধরেই নিয়েছিল যে ভুয়ো পরিচয়ে ভারতে ঢুকেছে ওই মহিলা। তারপর তাকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট বলেও অনেকেই অভিহিত করেন। অনেকেই আবার তাকে ‘মহিলা জঙ্গি’ বলতেও ছাড়েননি।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন সুখে সংসার করছেন সীমা। শচীন ও তার পরিবারের সঙ্গে এখন বেশ নিভৃতে রয়েছেন এই পাকিস্তানি মহিলা। যদিও এখন তিনি নিজেকে মনেপ্রাণে ভারতীয় বলেই মনে করেন। এমনকি বিভিন্নভাবে তিনি ভারতের প্রতি নিজের সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এসেছেন। এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেছিলেন, “জয় শ্রীরাম, রাধে রাধে। ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানে ভুল কথা বলা হয়। পাকিস্তান তাদের জঙ্গিদের কাছ থেকেও রেহাই পাবে না। ভারত সম্পর্কে মিথ্যে কথা বলা এসব বন্ধ হওয়া দরকার। এসব কারণেই পাকিস্তানে কেউ থাকতে চান না। পাকিস্তান এই সব জঙ্গিদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। আমি বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।”
তবে এবার সীমার বাড়িতে এল এক বড়সড় সুখবর। কারণে সূত্রের খবর, এবার মা হতে চলেছেন সীমা। যদিও এর আগে তিনি তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তবে জানা গেছে, এবার শচীনের ঔরসজাত সন্তান এসেছে তার গর্ভে। জানা গেছে, মাসখানেক আগেই তিনি সন্তানসম্ভবা হয়েছেন। আর তার গর্ভের এই সন্তান তার ও শচীনের প্রথম সন্তান। এই বিষয়ে সীমার শ্বশুর নাকি হাত দেখে গণনা করে জানিয়ে দিয়েছেন যে তার ছেলে হবে।
প্রসঙ্গত, শচীন ও সীমার সূত্রপাত তিন বছর আগে। অনলাইন ব্যাটেলগ্রাউন্ড গেম খেলার সময় ২০১৯ সালে ভারতের সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় পাকিস্তানি সীমার। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে জমে ওঠে বন্ধুত্ব, আর সেই বন্ধুত্ব ক্রমেই পরিণত হয় প্রেমের। কয়েকমাস আগেই ২২ বছরের বয়সী শচীনের প্রেমের টানে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছর বয়সী সীমা। সঙ্গে ছিল তাঁর তিন সন্তান, যাদের সবার বয়সই সাত বছরের কম।