বাড়ির টবে কাঁকরোল চাষ করুন সহজ পদ্ধতি শিখে নিন

Avatar

HoopHaap Digital Media

কাঁকরোল অতি পুষ্টিকর এবং জনপ্রিয় একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, আমিষ, খনিজ পদার্থ রয়েছে। যাদের ছাদ বাগানের শখ আছে কিংবা বাড়ির সামনে সামান্য একটুকরো জমি আছে তারা খুব সহজেই এটি চাষ করতে পারেন।

মোটামুটি সব রকমের মাটিতেই কাঁকরোল চাষ হতে পারে। তবে এঁটেল দোআঁশ মাটি এর জন্য ভালো। ভালো নার্সারি থেকে কাঁকরোলের বীজ আনতে পারেন। মাটিকে রোদে শুকিয়ে একেবারে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এর সাথে সরিষার খোল পচা সার কিংবা চায়ের পাতা রোদে শুকিয়ে ভালো করে গুঁড়ো করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন।

মাটি প্রস্তুত হয়ে গেলে আগের দিন রাতেই বীজকে ভাল করে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন মাটির মধ্যে লাগিয়ে রাখুন। মোটামুটি মাঝারি আকারের টব কিংবা জলের ড্রাম ব্যবহার করতে পারেন এটি চাষের জন্য।

মাঝে মাঝে গোবর সার ভালো করে শুকনো করে, গুঁড়ো করে গাছের গোড়া থেকে কিছুটা দূরে মাটির মধ্যে দিয়ে ভালো করে মাটি খুঁচিয়ে দিন।

চারা গজিয়ে যাবার পরে ভালো করে আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। মাটির গোড়ায় যেন বেশি জল না দাঁড়িয়ে থাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গাছ কিছুটা বড় হলেই গাছের গোড়ায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে গাছ বেঁধে দিতে হবে।

গাছের জাবপোকা, মাছি পোকা, বিছা পোকা ইত্যাদি হলে গাছের পাতা, ফুল, ফল নষ্ট করে দেয়, তাই যদি একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে গাছের কীটনাশক দিতে চান তাহলে রাত্রিবেলা এক চামচ গুঁড়ো লঙ্কা, কয়েকটি রসুনের কোয়া ভালো করে থেঁতো করে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেটা গাছের মধ্যে স্প্রে করুন। আর যেখানে জাব পোকার আক্রান্ত হয়েছে সেই জায়গাটি খুব আলতো করে ছিঁড়ে অনেকটা দূরে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন। রোপনের অন্তত দেড় দুই মাস পর থেকেই ফুল দিতে শুরু করে। তারপর কিছুদিন পর গাছ থেকে ফল সংগ্রহের উপযুক্ত হয়ে যায়।

Avatar

Leave a Comment