Pilu: লগ্নভ্রষ্টা হলেন রঞ্জিনী! পিলুর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল আহির
উড়ন্ত সিঁদুর নয়, উড়ন্ত গাঁদা ফুলের মেলা এসেই বিয়ে বাঁধিয়েছিল আহিরের সাথে পিলুর। টুসু উৎসবে এমন বিয়ে নিয়ে ট্রোলেরও শিকার হতে হয়েছিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে ধারাবাহিক কর্তৃপক্ষকেও। সে বিপদ অবশ্য অতিক্রম হয়েছে এতদিনে। টিআরপির তালিকায় মান ফেরাতে ‘পিলু’ মেগা হাজির করছে আর এক নতুন প্লট। প্রোমো প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই।
প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছে আহির। বিয়ে করবেন রঞ্জিনী। আসর জমজমাট। হঠাই হাজির হলেন আহিরের বাবা। গুরুজির উদ্দেশ্যে বলে বসলেন, “এতো স্বার্থপর তুমি আদিত্য নারায়ন! নিজের মেয়ের জন্য একটা গরীব বাড়ির মেয়েকে ঠকাচ্ছো। আহিরের বিয়ে পিলুর সঙ্গে হয়ে গেছে।” গুরুজির তো মাথায় এক হাত ছাড়া বজ্রঘাত। ওঁর সম্মান বজায় রাখবার দায়িত্ব নিয়ে বসলো স্ময়ং আহিরই। “গুরুজীর সম্মান নিয়ে আমি কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না।” এখানেই ঘটল ট্যুইস্ট।
পিলুর হাতটা ধরে হিড়হিড় করে টেনে জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসালো আহির। অন্যদিকে রঞ্জাও তো কনে সেজে আসরে হাজির। সিঁদুরের গাছকৌটো হাতে নিয়ে পিলুকে সিঁদুর পড়াতে উদ্যত হয়ে পড়েন আহির। রঞ্জা চিৎকার করে ওঠে, “আহির! এটা তুমি কি করছ?” পিলুও বলে বসে, “ “এমনটা করবেন না। আমি এখান থেকে চলে যাবো।”কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই আহিরের। বীরদর্পে বলে বসলেন, “অনেক দেরি হয়ে গেছে। এইভাবে সবকিছু শেষ করে দিয়ে তুমি চলে যেতে পারো না।” এরপরই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন পিলুকে।
কি সর্বনাশ! বিয়ের কনে রঞ্জাকে হলো লগ্নভ্রষ্টা? আবার এদিকে রাগের বশে বিয়ে হলো নায়ক-নায়িকার। প্রেম হতে কত দেরি? আদৌ কি হবে ? এদিকে রঞ্জিনী আবার ওদের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ফাঁদ পেতে বসবে না তো? টিআরপি দৌড়ে বাঁচতে গিয়ে একঘেয়েমি গল্প ফেঁদে বসবে না তো ‘পিলু’? হাজারো প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে দর্শকদের মাথায়। কেউ কেউ তো বলে বসেছে, “কোনো সিরিয়ালে সুস্থ স্বাভাবিক বিয়ে কি হতে পারেনা?” তাহলে কোন সুরে বাঁধা পড়তে চলেছে দুজনের আপকামিং গল্প।