পৃথিবীর কক্ষপথে সুবিশাল গ্রহাণু, ফের বিরল পরিস্থিতির মুখে বিশ্ববাসী!
সাল ২০২০! এই বছর টা পুরোপুরিই বিষ সাল। করোনা এই একটি রোগে কত মানুষ প্রাণ দিয়েছে তা অগুনীতক। এবছর পৃথিবী অনেক কিছুর সাক্ষী ছিল। আসছে রবিবার আরো একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা পৃথিবী। আবারো পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এক বড় আকারের এক গ্রহাণু।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে জানিয়েছে, আগামী রবিবার 153201 2000 WO107 নামের এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর এক পাশ দিয়ে চলে যাবে। বিশ্বের দীর্ঘতম বহুতল গগনচুম্বী দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার কাছে এই গ্রহাণুর প্রবেশ ঘটবে। বিশাল দৈর্ঘ্যের এই গ্রহাণুটির ব্যাস ০.৫১ কিমি। এই গ্রহাণুটির গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৫৬ হাজার কিমি। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগৎ তৈরি হওয়ার সময় এই ধরণের গ্রহাণুর সৃষ্টি হয়েছিল।
অনেকে আশঙ্কা করছিলেন এই বিশালাকার গ্রহাণুটি যদি সত্যিই পৃথিবীর আবহমণ্ডলে ঢুকে পড়ত তাহলে পৃথিবীর জন্য এক বিশাল বিপদ হতেই পারত। কিন্তু নাসা স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছে, এরকম দুর্ঘটনার এমন কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মনে করা হচ্ছে, রবিবার রাত ১টা বেজে ৮ মিনিটে পৃথিবী থেকে ৪৩ লক্ষ ০৫ হাজার ৭৭৫ কিমি দূরে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। প্রসঙ্গত, নিউ মেক্সিকোর বিজ্ঞানীরা এটিকে আবিষ্কার করেছিলেন ২০০০ সালের ২৯ নভেম্বর। তখনই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জেনেছিলেন যে এই গ্রহাণু বিরাট আকারের। তাই সেই থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটির দিকে নজর রেখেছিলেন।
এই ঘটনা কোনো নতুন ঘটনা নয়। এই ধরনের কত গ্রহাণু আছে যারা অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর আকার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পূর্বে ইতিহাস থেকে জানা গিয়েছে, একটা সময়ে পৃথিবীর বুকে বেশিরভাগ ডাইনোসরদের রাজত্ব করতো। এখন আর এদের রাজ নেই আর এই অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে আরো অনেক গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা গুজব শোনা যায়। অবশ্য তা সত্যি কিনা কেউ জানেননা।