মহেশ ভাট, বলিউডরে একেবারের প্রথম সারির পরিচালক তিনি। যার জীবনে রয়েছে অসংখ্য হিট সিনেমা তেমনই রয়েছে প্রচুর গসিপ। প্রেম -বিয়ে-পরকীয়া নিয়ে তার জীবন বৈচিত্রময়। বর্তমান সময়ে দাড়িয়েও বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না।
খুব অল্প বয়সে তিনি স্কুলের বান্ধবী কিরণ ভাটকে বিয়ে করেন। ঘরে আসে প্রথম সন্তান পূজা। যদিও বাবা হওয়ার গুরুত্ব তিনি সেদিন বোঝেননি। শুধুমাত্র আকর্ষণই বাবা হন। এছাড়াও যিনি নিজে ছোটবেলা থেকে বাবা শব্দের সঙ্গে অপরিচিত তিনি কিকরে বুঝবেন বাবা হওয়ার দ্বায়িত্ব। মহেশ ছোটবেলায় অপেক্ষা করতেন বাবার জন্য। মায়ের কাছে জানতে চাইতেন তার নাম মহেশ কেন রাখা হল। মায়ের থেকে উত্তর পেয়েছিলেন যে তার বাবাই রাখতে বলেছেন। পরবর্তীতে বাবার পরিচয় পান মহেশ। কিন্তু নিজ ক্যারিয়ার গড়তে ব্যাস্ত। বিয়ের পরেও কিরণকে বিশেষ সময় দিতে পারেননি। এবং গুঞ্জন আসে যে পারভিন ববির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে যান মহেশ। যখন পরভিন অসুস্থ হন তখন পরভিন থেকে মুখ সরিয়ে নেন মহেশ। প্রসঙ্গত কিরণ এর প্রকৃত নাম লরেন ব্রাইট। বিয়ের পর কিরণ ভাট হন। বলিউডে এখনও গুঞ্জন যে ‘আশিকি’ এবং ‘ওহ লম্হে’ ছবিটা নাকি স্ত্রী কিরণ এবং পরভিন ববির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েই তৈরি করেছেন তিনি।
কিরণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন মহেশ ফের বিয়ে করেন সোনি রাজদানকে। ডিভোর্স না করেই দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তিনি। এবং এই বিয়ের পূর্বে মায়ের ধর্ম অর্থাৎ মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। এই সোনি রাজদানের ঘরেই আসে আলিয়া ভাট। এই বিয়ে প্রসঙ্গে পূজা ভাট একবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে সোনি রাজদানে্র জন্যেই তার মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে। উল্লেখ্য, মহেশ যখন সোনিকে বিয়ে করেন তখন পূজার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। একদিন রাত একটার পর মহেশ ভাট, পূজার কাছে এসে বলে যে অন্য কেউ জানার আগে তোমাকে জানাচ্ছি যে আমি অন্য একজনের প্রেমে পড়েছি তাকে বিয়ে করবো। সেদিন পূজা ওই কথা শুনে শুধুই মাথা নাড়ায়। এরপর থেকে পূজার মনের মধ্যে সোনি রাজদান ও আলিয়া সম্পর্কে শুধুই তিক্ততা ছিল। পূজা ক্রমশ মাদকাসক্ত হয়ে যান। এমনকি ডিপ্রেসন তাকে গ্রাস করে।
একদিকে বাবার এমন দ্বিচারিতা, পরের দিকে বলিউডের চাপ, সব মিলিয়ে বলিউড ছাড়েন পূজা। এখন তিনি বোঝেন যে তার মা কিরণ এর সঙ্গে বাবার মতের মিল হত না, বরং ভালো হয়েছিল যা হয়েছে। পূজার কথায়, এখন তার বাবা তাদের সংসারে যাতায়াত করেন এবং প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান পর্যন্ত দেন।