সম্প্রতি স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি (Porimoni)। এরপর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন তিনি। তাঁকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন পার্টিতে। সম্প্রতি ছিল তাঁর জন্মদিন। উনত্রিশ বছর বয়সে পা দিলেন পরীমণি। জন্মদিনের সকালটা এদিন তিনি একটু অন্যরকম ভাবে পালন করলেন।
এদিন পরীমণি অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের সঙ্গে কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করলেন। অনাথ বাচ্চাদের জন্য ছিল বিশেষ উপহার। এদিন পাঁচটি রেড ভেলভেট কেক কেটেছেন পরীমণি। তাঁর পরনে ছিল লাল রঙের শাড়ি ও থ্রি-কোয়ার্টার স্লিভ ব্লাউজ এবং চোখে চশমা। অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের সঙ্গে তিনিও পরেছিলেন জন্মদিনের তিনকোণা টুপি। পরীমণির জন্মদিনে তাঁর জন্য শিশুরা গাইলেন “হ্যাপি বার্থডে”। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে জন্মদিনের বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে চলবে পরীমণির জন্মদিনের পার্টি।
তবে এই বছর পরীমণির জন্মদিনের পার্টিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল ছাড়া আর কেউ আমন্ত্রিত নয়। পার্টির ড্রেস কোড লাল ও সাদা। জন্মদিনের কার্ডে পরীমণি লিখেছেন, সকলকে খাঁটি হৃদয় নিয়ে আসতে ও তাঁর সঙ্গে চিরকালের জন্য উড়ে বেড়াতে। অপরদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (Pritilata Waddedar)-এর বায়োপিকের শুটিং যার নামভূমিকায় রয়েছেন পরীমণি।
কিছুদিন আগে পরীমণি জানিয়েছেন, তাঁর লড়াইয়ের শক্তি যুগিয়েছে তাঁর নানা শামসুল হক গাজীর (Shamsul Haq Gaji)-র একটি চিঠি। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকার সময় এই চিঠি এসে পৌঁছায় তাঁর হাতে। পরীমণি সেই চিঠি নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দিয়েছেন। শৈশবে পিতৃমাতৃহীন পরীমণিকে বড় করেছেন তাঁর নানা। তাঁর শৈশব কেটেছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার সিংহখালি গ্রামে নানার বাড়িতে। গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর নানা তাঁকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি সেই চিঠিটি অক্ষত রেখেছেন। এই চিঠিই তাঁর জীবনীশক্তি।
View this post on Instagram