বিয়ে-সহবাস-পরকীয়া-অনাগত সন্তান-সন্তানের পিতৃ পরিচয় এই সব নিয়ে গোটা বছর ধরে জলঘোলা হয়েছে। কখনো বিয়েকে সহবাস আখ্যা দিয়ে নিখিলের ঘর ছেড়েছেন নুসরত তো কখনো বেবী বাম্প নিয়ে দীর্ঘদিন পর জনসমক্ষে এসেছেন, কখনো আবার যশের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের সমালোচনা বুক ভরে মেনে নিয়েছেন। মোট কথা একটা দরুন লড়াই চালিয়ে গেলেন বসিরহাটের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
এখন তার কোলে ছোট্ট সন্তান, পাশে যশ। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই দুই টলিউড সেলিব্রিটি। নিজেদের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে মনের কথা প্রকাশ করলেন যশ ও নুসরত। অবশ্য, এই রবিবার জন্মদিনে একটি দুই তলা কেক কাটেন যশ। প্রথমে লেখা হাসব্যান্ড দ্বিতীয় থাকে লেখা ড্যাড। অর্থাৎ একজায়গায় স্বামী হিসেবে স্বীকৃতি অন্যজয়গায় সন্তানের বাবা হিসেবে। এরকমই দারুন একটি চকলেট কেক কাটলেন যশ।
নুসরত অন্তঃসত্ত্বা, একথা শুনে কী ঘাবড়ে গিয়েছিলেন যশ? এমন প্রশ্নের উত্তরে একটুও সময় না নিয়ে যশ বলেন, ‘এক মূহূর্তের জন্যও নয়। নুসরত যখন ওর প্রেগন্যান্সির কথা জানায়, সেই খবরটা আমাকে এতটুকুও দ্বন্দ্বে ফেলেনি। আমি ওকে প্রশ্ন করেছিলাম, তুমি কী করতে চাও? ওর শরীর, আমার নয়। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা ওরই হওয়ার ছিল। আমি শুধু ওকে বলেছিলাম, আমি তোমার সব সিদ্ধান্তে সর্বতোভাবে পাশে আছি। আমি ভীষণরকমভাবে চেয়েছিলাম, আমাদের সন্তান পৃথিবীতে আসুক, তবে আমি সেই সিদ্ধান্তটা ওর উপর চাপিয়ে দিতে পারি না। বিশ্বাস করবেন না, নুসরত আমাকে বলেছিল- আমি যদি এই সন্তানের দায়িত্ব ঝেড়েও ফেলতে চাই তবু ও নিজের ভাবী সন্তানের জন্ম দেবে।’
থেমে যাননি নুসরত জাহান নিজেও। তিনিও যোগ করে বলেন, ‘সত্যি একটুও ঘাবড়ায়নি যশ। আমাদের মিউচুয়্যাল সিদ্ধান্ত ঈশানকে এই পৃথিবীতে আনা। লোকজন সেটা নিয়ে কী ভাবছে, কী করছে- তা নিয়ে কুছ পরোয়া নেই আমাদের। কেউ আমাকে সাহসিনী বলে কুর্নিশ জানাবে আবার কেউ বিভিন্ন নামে গালিগালাজ করবে, এই তো!’
এরপরেই আসে বিয়ের প্রসঙ্গ। বিয়ে প্রসঙ্গে দুজনের বক্তব্য মিউচ্যুয়াল। ‘মনের মিল জরুরি। একটা আইনি স্ট্যাম্প থাকলেই কোনও সম্পর্ক পূর্ণতা পায় না, কেউ যদি বিয়ের মন্ডপে নেওয়া প্রতিজ্ঞাগুলো বাস্তবে পূরণ না করতে পারে তবে সেই বিয়ে বৃথা